পঞ্জাবের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আম আদমি পার্টি (AAP) লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোড়াকে তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
চণ্ডীগড়: পঞ্জাবের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আম আদমি পার্টি (AAP) লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোড়াকে তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের পরে এখন অনুমান করা হচ্ছে যে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং AAP-এর জাতীয় সংযোজক অরবিন্দ কেজরীবাল শীঘ্রই রাজ্যসভায় প্রবেশ করতে পারেন। যদিও, এ ব্যাপারে এখনও পার্টির পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
কেজরীবালের জন্য পথ পরিষ্কার?
উল্লেখ্য, লুধিয়ানা পশ্চিম আসনের বিধায়ক গুরপ্রীত গোগির হঠাৎ মৃত্যুর পরে আসনটি খালি হয়েছিল। এখন সঞ্জীব অরোড়াকে সেখান থেকে প্রার্থী করা একটি বড় রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদি অরোড়া উপনির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে তাঁর রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, যার ফলে AAP-এর কাছে একটি সংসদীয় আসন খালি হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে অরবিন্দ কেজরীবালকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
কি রাজ্যসভা আসনের বিনিময়ে মন্ত্রিসভায় স্থান?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সঞ্জীব অরোড়াকে লুধিয়ানা পশ্চিম থেকে প্রার্থী করা শুধুমাত্র উপনির্বাচন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। ভগবন্ত মান মন্ত্রিসভায় দুটি মন্ত্রীর পদ শূন্য রয়েছে, এবং যদি অরোড়া জয়ী হন, তাহলে তাঁকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এর বিনিময়ে তিনি রাজ্যসভা আসন ছেড়ে দিতে পারেন, যার ফলে কেজরীবালের সেখানে প্রবেশ করা সহজ হয়ে যাবে।
বিরোধীরা গুরুতর অভিযোগ আনেন
AAP-এর এই পদক্ষেপের প্রতি বিরোধীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন AAP নেতা সুখপাল খৈরা অভিযোগ করেছেন যে, কেজরীবাল "পেছনের দরজা" দিয়ে রাজ্যসভায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ক্ষমতায় থাকার জন্য। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "সঞ্জীব অরোড়াকে মন্ত্রী করার পরিকল্পনা শুধুমাত্র তাঁর রাজ্যসভা আসন কেজরীবালকে দেওয়ার জন্য। এটি সরাসরি পঞ্জাবের রাজনীতিতে বহিরাগত হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত।"
AAP-এর কৌশল নাকি নতুন রাজনৈতিক কায়দা?
AAP নেতৃত্ব এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি, কিন্তু পার্টি সূত্রের মতে, সঞ্জীব অরোড়াকে প্রার্থী করা একটি পরিকল্পিত কৌশল। এতে AAP-কে পঞ্জাবে তাদের দখল শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে, পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল সংসদে প্রতিনিধিত্বের একটি নতুন মঞ্চ পেতে পারেন।