বৃহস্পতিবার লোকসভায় ওয়াক্ফ বিল নিয়ে JPC-এর প্রতিবেদন উপস্থাপিত হলে বিরোধীরা হট্টগোল করে। আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এবং মল্লিকার্জুন খড়গে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেন।
Waqf Bill: বৃহস্পতিবার লোকসভায় ওয়াক্ফ (সংশোধনী) বিলের উপর যুক্ত সংসদীয় কমিটি (JPC)-এর প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়, যা নিয়ে বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবেদনটি JPC-এর অধ্যক্ষ জগদম্বিকা পাল উপস্থাপন করেন, এর পরেই বিরোধী দলগুলি সরকারের উপর সংসদীয় প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
আসাদুদ্দিন ওয়াইসির প্রতিবাদ
এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এই বিলকে অসংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করে এর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "এটি সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করে। এই বিল মুসলমানদের কাছ থেকে ওয়াক্ফ সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার এবং তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি।"
ওয়াইসি এটাও প্রশ্ন তোলেন যে, অ-মুসলমানদের কীভাবে ওয়াক্ফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। তিনি বলেন, "সরকার কীভাবে কালেক্টর এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এমন ক্ষমতা দিতে পারে যে তারা ঠিক করবে কোন সম্পত্তি ওয়াক্ফের অধীনে আছে কি না?"
অন্যান্য বিরোধী নেতাদের প্রতিক্রিয়া
সমাজবাদী পার্টি (সপা)-এর সাংসদ অবধেশ প্রসাদ বলেন যে, বিরোধীদের পরামর্শ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, সরকার এই বিলের মাধ্যমে আসল ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে চায়।
সপা সাংসদ ডিম্পল যাদব বলেন, "বিরোধীদের পরামর্শ বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সরকার এটিকে জোর করে পাশ করাতে চায় এবং এটি অধিবেশনের শেষ দিনে উপস্থাপন করা হয়েছে।"
সপা সাংসদ ইকরা হাসানও এই বিলকে সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "কমিটির কার্যকলাপ নিরপেক্ষ ছিল না, স্বাধীনভাবে ইনপুট নেওয়া হয়নি। এই বিল অসংবিধানিক এবং আমরা এর বিরোধিতা করি।"
সরকারের পক্ষ
সরকার বিলকে যুক্তিসঙ্গত বলে উল্লেখ করে বলেছে যে, এর উদ্দেশ্য ওয়াক্ফ সম্পত্তির উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা। তবে, বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের কারণে সংসদে ব্যাপক হট্টগোল হয় এবং আলোচনা ব্যাহত হয়।
