হিসারের ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রার সাথে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টদের যোগাযোগ পাওয়া গেছে, তবে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে তার কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। পুলিশ ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
জ্যোতি মলহোত্রা: ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা মামলাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নিউজ চ্যানেল পর্যন্ত নানা রকমের গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কেউ একে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে, আবার কেউ ডায়েরি পাওয়ার কথাও বলেছে। কিন্তু এখন এই পুরো বিষয়টি নিয়ে হিসার পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলন করে সত্যিটা তুলে ধরেছে।
পুলিশ অধীক্ষক শশাঙ্ক কুমার সাওয়ান স্পষ্ট করে বলেছেন যে জ্যোতি মলহোত্রা পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের, অর্থাৎ PIOs (Pakistani Intelligence Operatives)-এর সাথে যোগাযোগে ছিলেন, তবে এ পর্যন্ত তদন্তে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে তার কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
না কোনও ডায়েরি পাওয়া গেছে, না সন্ত্রাসবাদীদের সাথে কোনও যোগাযোগ - পুলিশের স্পষ্ট উত্তর
পুলিশ সেসব খবরকে উড়িয়ে দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছিল যে অভিযুক্তের কাছ থেকে কোনও ডায়েরি পাওয়া গেছে অথবা সে কোনও সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। এসপি সাওয়ান বলেছেন, “আমরা অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং কিছু অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করেছি, যার ফরেনসিক তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত তদন্তে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে সম্পর্কের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”
তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে
হিসারের নিউ অগ্রসেন কলোনির বাসিন্দা জ্যোতির উপর পাকিস্তানে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। যদিও পুলিশ জানায়নি যে সে কোন ধরণের তথ্য ভাগ করেছে। এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা থেকে বলা যায় যে অভিযুক্তের কোনও সামরিক, প্রতিরক্ষা বা গোপনীয় রাজনৈতিক তথ্যের অ্যাক্সেস ছিল।
কুরুক্ষেত্রের হরকিরতের সাথেও জিজ্ঞাসাবাদ
এই মামলায় আরও একজনের নাম সামনে এসেছে - হরকিরত। পুলিশ কুরুক্ষেত্রের বাসিন্দা হরকিরতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। জ্যোতির সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং ডিজিটাল ট্রেইলের ধারাবাহিকতায় এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পুলিশ তেমন কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
মিথ্যা সংবাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পুলিশ, মিডিয়াকে সতর্ক করেছে
হিসার পুলিশ মিডিয়ার কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে তারা যাচাই না করে কোনও সংবাদ প্রচার না করে। প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কিছু মিথ্যা সংবাদ শুধুমাত্র মামলার তদন্তকেই প্রভাবিত করছে না, বরং দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ব্যাংক ডিটেইলস এবং ধর্ম পরিবর্তনের দাবিতে পুলিশ কী বলেছে?
জ্যোতির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং ব্যাংক ডিটেইলস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পুলিশ জানিয়েছে যে এই দিকগুলোর তদন্ত চলছে এবং এখনই এ ব্যাপারে কোনও সর্বজনীন মন্তব্য করা যাবে না।
এইভাবে, কিছু মিডিয়া রিপোর্টে এমন দাবিও করা হয়েছিল যে অভিযুক্ত বিয়ে করেছে অথবা ধর্ম পরিবর্তন করেছে। কিন্তু পুলিশ এই সব কথা “ভিত্তিহীন” এবং “মিথ্যা গুজব” বলে উড়িয়ে দিয়েছে।