গুজরাটে ১.২৬ কোটি টাকার ড্রাগসসহ দুই নাইজেরিয়ান গ্রেপ্তার

গুজরাটে ১.২৬ কোটি টাকার ড্রাগসসহ দুই নাইজেরিয়ান গ্রেপ্তার
সর্বশেষ আপডেট: 21-03-2025

গুজরাট পুলিশের স্টেট মনিটরিং সেল (SMC) ১.২৬ কোটি টাকার ড্রাগসসহ দুই নাইজেরিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। এটি ড্রাগস পাচারের বিরুদ্ধে তাদের আরও একটি বড় অভিযান।

নয়া দিল্লি: গুজরাট পুলিশের স্টেট মনিটরিং সেল (SMC) মুম্বই থেকে ভালসাডের বাপিতে ড্রাগস ডেলিভারি করতে আসা দুই নাইজেরিয়ান নাগরিককে ১.২৬ কোটি টাকার ড্রাগসসহ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ২৫২ গ্রাম এমডি ড্রাগস উদ্ধার করেছে। দুই আসামিরই যোগাযোগ ছিল এক ব্যক্তির সাথে, যাকে তারা ‘চাচু’ বলে ডাকত।

পূর্বে ড্রাগস পাচারে জড়িত থাকা আসামি কেলিচিকু ফ্রান্সিসকে ২০২২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ এখন এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে রয়েছে এবং ড্রাগস সাপ্লাইয়ের নেটওয়ার্ক উন্মোচন করার চেষ্টা করছে।

পুলিশের দ্রুত অভিযান

SMC-এর কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভালসাডের বাপিতে অভিযান চালিয়ে আসামি কেলিচিকু ফ্রান্সিস এবং আকিমওয়ানমি ডেভিডকে গ্রেপ্তার করে। এই দুই আসামি একটি ট্যাক্সিতে ভ্রমণ করছিল এবং মহারাষ্ট্রে বসবাস করছিল। এই দুজনেরই যোগাযোগ ছিল এক ব্যক্তির সাথে, যাকে তারা ‘চাচু’ নামে জানত এবং ওই ব্যক্তির নির্দেশেই তারা গুজরাটে ড্রাগস ডেলিভারি করতে এসেছিল।

পূর্বেও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছিল

পুলিশের তদন্তে আরও জানা গেছে যে, আসামি কেলিচিকু ফ্রান্সিসকে পূর্বে ২০২২ সালে NDPS আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানুয়ারী ২০২৫ সালে তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়ে আবার ড্রাগস পাচারে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এখন এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে রয়েছে এবং ড্রাগস ডেলিভারি কোথায় কোথায় করা হত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

রাষ্ট্রে বর্ধমান ড্রাগস পাচারের উপর কঠোর নজরদারি

গুজরাট পুলিশ রাজ্যে ড্রাগস পাচারের উপর কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে। পুলিশ স্টেশনের স্থায়ী মর্যাদা পাওয়ার পর SMC-এর পক্ষ থেকে এটি দ্বিতীয় বৃহৎ মামলা, যেখানে বিদেশি ড্রাগস পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বৃহৎ পরিমাণ ড্রাগস উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসেও SMC একটি নাইজেরিয়ান মহিলাকে ১.৫ কোটি টাকার ড্রাগসসহ গ্রেপ্তার করেছিল।

এই অভিযান থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, গুজরাটে ড্রাগস পাচার নিয়ে পুলিশ এবং SMC উভয়ই সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় এবং বিদেশি নেটওয়ার্কের উপরও কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।

Leave a comment