মুম্বাইতে আয়োজিত গ্লোবাল ফোরামের সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্তরাধিকারী নিয়ে বড় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে ২০২৯ সালেও নরেন্দ্র মোদীই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ২০২৯ সালে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে চলমান সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বড় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ২০২৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই দেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং এখন উত্তরাধিকারীর কথা বলা সময়ের আগে নয়, বরং এটি ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও।
ফড়নবিসের এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন শিবসেনা (উবিটি) নেতা সংজয় রাউত প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সদর দপ্তরে সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাউত দাবি করেছিলেন যে সংঘ এখন মোদীর উত্তরাধিকারী নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে এবং এই দিকে সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া যেতে পারে।
'উত্তরাধিকারীর কথা বলা আমাদের ঐতিহ্য নয়'- ফড়নবিস
গ্লোবাল লিডারশিপ ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফড়নবিস বলেছেন, এটি উত্তরাধিকারী নির্বাচনের সময় নয়, কারণ ২০২৯ সালেও দেশের নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদীই দেবেন। তিনি এখনও দেশকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এবং তাঁর দর্শন ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। তাই ২০২৯ সালের কল্পনা করা তড়িঘড়ি এবং অপ্রয়োজনীয়। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, মুঘলদের ঐতিহ্য হতে পারে যে যখন রাজা বৃদ্ধ হন, তখন উত্তরাধিকারীর ঘোষণা শুরু হয়। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্রে এটি জনতা ঠিক করে, কোনও বন্ধ কক্ষে কোনও পরিষদ নয়।
রাউতের '৭৫ বছর বয়স' সংক্রান্ত যুক্তিতে ফড়নবিসের তীব্র প্রত্যুত্তর
সংজয় রাউত দাবি করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বছর ৭৫ বছর বয়সী হবেন এবং বিজেপির ঐতিহ্য অনুসারে, এই বয়সের পর নেতাদের সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যেতে হয়। এর জবাবে ফড়নবিস বলেছেন, নেতৃত্বের বয়স চিন্তাভাবনা দিয়ে হয়, শারীরিক অবস্থা দিয়ে নয়। মোদীজির উর্জা, তাঁর সমর্পণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি আজও তরুণদের থেকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক।
আরএসএস সফর নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাগপুরস্থিত আরএসএস সদর দপ্তরে সফর নিয়েও বহু রাজনৈতিক মন্তব্য হয়েছিল। রাউত এটিকে 'বিদায়ী সাক্ষাৎ' বলে অভিহিত করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে সংঘ এখন নতুন মুখোমুখি আনতে পারে। তবে বিজেপি নেতারা এটিকে 'সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎ' বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এই সফর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি সম্পর্কিত ছিল।
দেবেন্দ্র ফড়নবিসের এই স্পষ্ট বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপিতে নেতৃত্ব নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। দলের দৃষ্টি শুধুমাত্র ২০২৪ সাল পর্যন্ত নয়, বরং ২০২৯ এবং তার পরের রোডম্যাপে, যেখানে মোদীর নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছে। বিরোধীদের জন্য এটি একটি বার্তা যে 'উত্তরাধিকারী' নিয়ে আলোচনা এখনও দূরের কথা।