নয়া ইভি নীতির আওতায় অবৈধ ই-রিক্সা চালানোর উপর কঠোর হবে দিল্লি সরকার। তবে ই-রিক্সার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না, বরং সরকার এই সেবা উন্নত করার জন্য নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করছে।
দিল্লি সংবাদ: দিল্লিতে ই-রিক্সা এখন শেষ কিলোমিটার সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর অবৈধ চালানোর ফলে দিল্লি সরকারকে নতুন একটি ইভি নীতি প্রণয়ন করতে বাধ্য করা হয়েছে। দিল্লি সরকার স্পষ্ট করেছে যে তারা ই-রিক্সার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, তবে অবৈধভাবে চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লিতে ই-রিক্সার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার বেশিরভাগই অবৈধভাবে চলছে।
ই-রিক্সার অবৈধ চালানো এবং বর্ধমান যানজট
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দিল্লি পুলিশ ২ লক্ষেরও বেশি ই-রিক্সা চালান কেটেছে, যার মধ্যে ভুল পার্কিং, লাইসেন্স ছাড়া চালানো এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘন প্রধান কারণ ছিল। যদিও দিল্লিতে ই-রিক্সার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই যানবাহনের গতি এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক ই-রিক্সা অবৈধভাবে প্রধান সড়কে চলছে, যার ফলে যানজট এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
নিরাপত্তা এবং নিবন্ধনের প্রয়োজন
দিল্লিতে অনেক ই-রিক্সা নিবন্ধন ছাড়াই চলছে, এবং কিছু ওভারলোডও হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে, কারণ এই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
দিল্লি সরকারের লক্ষ্য হলো ই-রিক্সা চালকদের নিবন্ধন করার পরেই রাস্তায় নামার অনুমতি দেওয়া, যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
ই-রিক্সার জন্য নতুন ইভি নীতি
দিল্লি সরকারের কর্মকর্তারা মনে করেন যে ই-রিক্সা একটি উপযোগী সেবা, তবে এটিকে আরও উন্নত এবং ব্যবস্থাপিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নতুন বৈদ্যুতিক যানবাহন নীতিতে এই সেবার জন্য সাবসিডিও প্রযোজ্য হতে পারে, যার ফলে এর পরিচালনায় উন্নতি হতে পারে।
দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী, ডাঃ পঙ্কজ সিংহ জানিয়েছেন অবৈধ ই-রিক্সার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এই প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।
ই-রিক্সার চালান এবং নিবন্ধন
২০২৪ সালে ই-রিক্সার মোট ২,৭৮,০৯০ টি চালান কাটা হয়েছিল, যার মধ্যে অধিকাংশ চালান ভুল পার্কিং এবং লাইসেন্স ছাড়া চালানোর জন্য ছিল। দিল্লি পুলিশের মতে, চলতি বছরের তিন মাসে ৬৪,৮৫২ টি চালান কাটা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৭,৮৩৫ টি চালান ভুল পার্কিংয়ের জন্য।
নতুন নীতির আওতায় দিল্লি সরকার ই-রিক্সা ব্যবস্থাপনা করার পরিকল্পনা করছে, যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সড়ক পরিবহন উন্নত করা যায়। সরকারের চেষ্টা হলো এই সেবা দূষণ কমাতে এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্রমণের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।