২০২৫ সালের বৈশাখীতে হরিদ্বারে লাখ লাখ তীর্থযাত্রী

🎧 Listen in Audio
0:00

২০২৫ সালের বৈশাখীতে হরিদ্বারে লাখ লাখ তীর্থযাত্রী ভিড় করেন। হর কি পৌড়ি এবং ঘাটগুলিতে আস্থার স্নান করা হয়। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। সপ্তাহান্ত এবং পূর্ণিমায় ভিড় আরও বেড়ে যায়।

হরিদ্বার, বৈশাখী ২০২৫ আপডেট: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, বৈশাখীর পবিত্র দিনে হরিদ্বার আস্থা ও ভক্তির সাগরে ডুবে ছিল। সকাল থেকেই লাখ লাখ তীর্থযাত্রী হর কি পৌড়ি এবং অন্যান্য গঙ্গা ঘাটে আস্থার স্নান করতে এসেছিলেন। এই ঐতিহাসিক দিনে হর কি পৌড়ি সম্পূর্ণ ভিড়ে পূর্ণ ছিল, যেখানে ভক্তরা গঙ্গাস্নান করে পুণ্য অর্জন করেছিলেন এবং জাঁকজমকপূর্ণ গঙ্গা আরতি তে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভিড় ব্যবস্থাপনার কঠোর ব্যবস্থা

অত্যধিক ভিড়কে বিবেচনা করে প্রশাসন সমগ্র মেলা এলাকাকে ৪ টি সুপার জোন, ১৪ টি জোন এবং ৪০ টি সেক্টরে বিভক্ত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করেছিল। পুলিশ, পিএসি এবং সিভিল ডিফেন্সের দলগুলিকে কৌশলগত স্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল।

তীর্থযাত্রীদের সংখ্যায় ব্যাপক বৃদ্ধি

বৈশাখীর সাথে শনিবার চৈত্র পূর্ণিমা এবং সপ্তাহান্তের কারণে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যার গঙ্গা আরতিতে হরিদ্বারের আধ্যাত্মিক আবেশ চরমে পৌঁছেছিল। ভক্তদের জপ এবং আরতির ধ্বনিতে চারদিক গুঞ্জন করে উঠেছিল।

জ্যাম ও পার্কিংয়ের সমস্যা

তীর্থযাত্রীদের অত্যধিক ভিড়ের কারণে দিল্লি-হরিদ্বার হাইওয়ে সহ অভ্যন্তরীণ শহরের রাস্তাগুলিতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। পার্কিং লটগুলি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং হোটেল, লজ এবং ধর্মশালাগুলিতে কক্ষ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। রুহেলখন্ড, সাহারানপুর এবং রুরকি থেকে আসা পথগুলিতেও যানজটের অবস্থা বিরাজ করেছিল।

মন্দির এবং তীর্থস্থানে ভিড়ের ঢেউ

চণ্ডী দেবী এবং মানসা দেবী মন্দিরে দর্শনের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছিল। হরিদ্বারের গলি থেকে বাজার পর্যন্ত পদচারণা এতটাই ছিল যে স্থানীয় বিক্রেতাদের বিক্রয়ও বেড়েছে।

প্রশাসন ভক্তদের অনুরোধ করেছিল যাতে তারা ধৈর্য ধরে এবং জনসাধারণের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে ডিজিটাল মানচিত্র এবং জরুরি যোগাযোগ নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছিল।

Leave a comment