ছত্তিশগড়ের বিজাপুর ও কাংকেড় জেলায় সংঘর্ষে ২২ নক্সাল নিহত। ১৮ নক্সালের মৃতদেহ ও অস্ত্র উদ্ধার, এক জওয়ান শহীদ। অমিত শাহ শূন্য সহনশীলতার নীতির পুনঃস্থাপনার কথা জানিয়েছেন।
ছত্তিশগড় সংঘর্ষ: ছত্তিশগড়ের বিজাপুর ও কাংকেড় জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও নক্সালদের মধ্যে সংঘর্ষে ২২ নক্সাল নিহত হয়েছে। বিজাপুরে পুলিশ ও নক্সালদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৮ নক্সালের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। কাংকেড়ে ৪ নক্সাল নিহত হয়েছে। এই সংঘর্ষে বিজাপুরের এক জওয়ানও শহীদ হয়েছেন। সংঘর্ষ এখনও চলছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী অনুসন্ধান অভিযান তীব্রতর করেছে।
সংঘর্ষের কারণ ও ঘটনাক্রম
সংঘর্ষ তখন শুরু হয় যখন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যৌথ দল বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর এলাকায় নক্সাল বিরোধী অভিযানে বেরিয়েছিল। এই এলাকাটি বিজাপুর ও দন্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তে অবস্থিত। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে গুলিবর্ষণ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী নক্সালদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অবলম্বন করছে।
অমিত শাহ-এর বক্তব্য
সংঘর্ষের পর কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ তার পোস্টে বলেছেন যে, মোদী সরকার নক্সালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেছেন, "সরকার আত্মসমর্পণ ও অন্তর্ভুক্তির সকল সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও, যারা নক্সাল আত্মসমর্পণ করছে না তাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অবলম্বন করছে।"
অস্ত্র ও গোলাবারুদের উদ্ধার
পুলিশ সংঘর্ষের সময় ১৮ নক্সালের মৃতদেহের সাথে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি, সংঘর্ষস্থল থেকে অটোমেটিক অস্ত্রও পাওয়া গেছে।
পূর্বেও সংঘর্ষে নক্সালদের মৃত্যু
এর আগে বিজাপুর ও নারায়ণপুর থেকে মহারাষ্ট্র সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী ও নক্সালদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, যেখানে ৩১ নক্সাল নিহত হয়েছিল। এবারও নিহত নক্সালের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
দুই জওয়ান আহত
এই সংঘর্ষে দুই জওয়ানও আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী নক্সালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে এবং এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান চলছে।