২০২৫ সালের চারধাম যাত্রার শুরুতে এখন মাত্র এক মাসেরও কম সময় বাকি রয়েছে, কিন্তু যাত্রাকালীন ঘোড়া-খচ্চরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া একটি সংক্রামক রোগ সরকারের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার ভিরোন এবং বাস্তি গ্রামে ১৮টি ঘোড়া-খচ্চরের মধ্যে ইকুইন ইনফ্লুয়েঞ্জার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর সরকার সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে।
চারধাম যাত্রা ২০২৫: রুদ্রপ্রয়াগ জেলার ভিরোন এবং বাস্তি গ্রামে ১৮টি ঘোড়া-খচ্চরের মধ্যে সংক্রামক রোগ ইকুইন ইনফ্লুয়েঞ্জার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর সরকার সতর্ক হয়ে উঠেছে। পশুপালনমন্ত্রী সৌরভ বাহুগুণা সচিবালয়ে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে নির্দেশ দিয়েছেন ৩০শে এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা চারধাম যাত্রাকে মাথায় রেখে অশ্ব জাতীয় পশুদের (ঘোড়া-খচ্চর) স্ক্রিনিং অগ্রাধিকার ভিত্তিক করা হবে।
মন্ত্রী কর্মকর্তাদের বলেন, এটা নিশ্চিত করা হবে যাতে কোনও রোগাক্রান্ত পশু যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে না পারে। এই প্রসঙ্গে চারধাম যাত্রাকালীন সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পশুপালন বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে।
চারধাম যাত্রায় অশ্ব জাতীয় পশুদের কঠোর পরীক্ষা
পশুপালনমন্ত্রী সৌরভ বাহুগুণা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন চারধাম যাত্রায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত অশ্ব জাতীয় পশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। বিশেষ করে, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ঘোড়া-খচ্চরদের স্বাস্থ্য প্রমাণপত্র এবং ইকুইন ইনফ্লুয়েঞ্জার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর কঠোর পদক্ষেপ
ইকুইন ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ, যা অশ্ব জাতীয় পশুদের মধ্যে ৮০-৯০% পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার হার ধারণ করে। টিকাকরণই এর প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। ২০০৯ সালে এই একই রোগের কারণে চারধাম যাত্রায় প্রায় ১৭৫টি ঘোড়া-খচ্চর মারা গিয়েছিল। রুদ্রপ্রয়াগে সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর ঘোড়া-খচ্চরদের নিবন্ধন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমিত পশুদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি রুদ্রপ্রয়াগ, চমোলি, টিহরি, উত্তরকাশী এবং বাগেশ্বর জেলায় ৪২২টি ঘোড়া-খচ্চরের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১৮টিতে সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে।
যাত্রাকে নিরাপদ করার পরিকল্পনা
সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত ২৩,১২০টি নিবন্ধিত ঘোড়া-খচ্চরের পরীক্ষা অগ্রাধিকার ভিত্তিক করা হবে। রাজ্য সীমান্তে তৈরি পশু রোগ নিয়ন্ত্রণ চৌকিতেও পরীক্ষা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। সরকারের উদ্দেশ্য হল চারধাম যাত্রায় কোনও সংক্রমিত পশু যাতে অংশগ্রহণ না করে। পশুপালনমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে যাত্রাকালীন ঘোড়া-খচ্চরের মাধ্যমে কোনও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার সম্পূর্ণ সতর্ক। তিনি বলেছেন, যাত্রায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হবে, যাতে তীর্থযাত্রীরা নিরাপদ এবং সুস্থ যাত্রার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
