ভারত ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি, সিয়ালকোটসহ পাকিস্তানের নয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে। এই কার্যকলাপে পাকিস্তানে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং শেহবাজ শরিফ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। জবাবে পাকিস্তান এলওসি-তে গোলাবর্ষণ করেছে।
আক্রমণ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার ফলে পুরো দক্ষিণ এশিয়া আবারও যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের ব্যর্থ প্রচেষ্টার জবাবে ভারত একটি বড় সামরিক অভিযান চালিয়েছে।
ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি, সিয়ালকোট, বাহাওয়ালপুরসহ নয়টি প্রধান শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে। এই আক্রমণগুলিতে বিশেষ করে লাহোরে চীন-নির্মিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এইচকিউ-৯ ইসরাইল থেকে ক্রয়কৃত হারোপ ড্রোনের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। ভারত এই কার্যক্রম নিজস্ব সীমান্তের মধ্যেই থেকে করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জরুরি বৈঠক ডেকেছেন
ভারতের আক্রমণের পর পাকিস্তানে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ অবিলম্বে একটি জরুরি উচ্চস্তরের নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমদ শরিফ চৌধুরী মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে ভারত ১২টি ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে, যার কিছুকে তাদের সিস্টেম নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে, কিন্তু লাহোরে এয়ার ডিফেন্সে আক্রমণ হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে
পাকিস্তান ভারতের অনেক সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল, যার মধ্যে অবন্তীপুর, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপূরথলা, জালন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ শহরগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারত সমন্বিত কাউন্টার ইউএএস গ্রিড ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমস্ত আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছে।
অপারেশন সিন্দুরের পর পাকিস্তানের উত্তেজনা
জানা গেছে যে, ভারতীয় সেনার পরিচালিত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অংশ হিসেবে এই প্রতিশোধমূলক কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে। এই অপারেশনের পরে জম্মু শহরে রাতের বেলা বিস্ফোরণ ঘটে, যা ভারতের S-400 এবং আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফলভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে। জম্মুতে রাতভর সাইরেন বাজতে থাকে এবং আকাশে প্রজেক্টাইলের আলো দেখা যায়।
