সেনা প্রধানকে চিঠি লিখে অমরজিৎ কুমার জানিয়েছেন, দেশের প্রয়োজন হলে তিনি পুনরায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত, সাথে আরও ২৪০ জন প্রাক্তন সৈনিক।
নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা উপলক্ষে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অধিনায়ক (অব.) অমরজিৎ কুমার দেশসেবার জন্য আবারও সামনে এসেছেন। ৭৫ বছর বয়সেও তাঁর উৎসাহ কমেনি। তিনি সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, দেশের প্রয়োজন হলে তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পুনরায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
অনুভূতিপূর্ণ চিঠিতে প্রতিজ্ঞা
অধিনায়ক অমরজিৎ লিখেছেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের অংশ হতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। বর্তমান পরিস্থিতি একটা নির্ণায়ক যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন হতে পারে এবং আমি এই আহ্বানে সাড়া দিতে প্রস্তুত।” তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তিনি কোনও ধরনের বেতন বা সুবিধার আশা করেন না—তাঁর লক্ষ্য শুধুমাত্র জাতীয় সেবা।
যুদ্ধের স্মৃতি ও নতুন সতর্কতা
১৯৭১ সালের যুদ্ধে অধিনায়ক অমরজিৎ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘গরীবপুর’ এর নির্ণায়ক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আজকের পরিস্থিতি সেই সময়ের মতো এবং এবারও দেশকে নির্ণায়ক পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি সাধারণ জনগণকেও সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন যাতে ভারতের জনবলকে শক্তিশালী করা যায়।
২৪০ প্রাক্তন সৈনিকও প্রস্তুত
তিনি আরও জানিয়েছেন যে তাঁর ব্যাচের প্রায় ২৪০ জন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক তাঁর সাথে পুনরায় সেবা দিতে প্রস্তুত। “আমাদের সৈনিকদের কাছে অবসর শুধুমাত্র একটি শব্দ, উৎসাহ জীবনভর আমাদের সাথে থাকে,” তিনি বলেছেন।
সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি
২২শে এপ্রিল পাহালগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে পাকিস্তান এলওসি এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ করছে, যার জবাব দিয়েছে ভারত। অনেক সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষ আশ্রয়স্থল মেরামত করছে এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুত করছে। ৭ই মে সারা দেশে মক ড্রিল হবে, যেখানে নাগরিকদের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা হবে।