মহারাষ্ট্রের পুনের সোয়ারগেট বাসস্ট্যান্ডে ধর্ষণের ঘটনায় ৭০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। হিস্ট্রিশিটার দত্তাত্রয় রামদাস গাদেকে ধরতে ১৩টি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছিল।
পুনে: মহারাষ্ট্রের পুনের সোয়ারগেট বাসস্ট্যান্ডে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ৭০ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। হিস্ট্রিশিটার দত্তাত্রয় রামদাস গাদেকে ধরতে ১৩টি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছিল। খোঁজা কুকুর ও ড্রোনের সাহায্যে পুলিশ পুনের শিরুর তহশিলের গুনাত গ্রামের আখের ক্ষেতে তাকে গ্রেফতার করে।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া সূত্র
সোয়ারগেট বাসস্ট্যান্ডে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অভিযুক্তের পরিচয় পাওয়া যায়। ফুটেজে দেখা যায় অভিযুক্ত একজন নারীকে জনমানবহীন স্থানে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান চালায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে অভিযুক্ত পুনের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড সোয়ারগেটে রাজ্য পরিবহনের একটি বাসে ২৬ বছর বয়সী এক যুবতীকে ধর্ষণ করে।
ঘটনা ঘটিয়ে সে একটি সবজির ট্রাকে লুকিয়ে নিজের গ্রাম গুনাতে পৌঁছে যায়। সেখানে সে তার পোশাক ও জুতা বদলে পালিয়ে যায়। পুলিশের সন্দেহ ছিল সে গ্রামের কাছেই আখের ক্ষেতে লুকিয়ে থাকতে পারে।
ড্রোন ও খোঁজা কুকুর নিয়ে চালানো সার্চ অপারেশন
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ গুনাত গ্রামে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। ১০০ জনের বেশি পুলিশ কর্মী ড্রোন ও খোঁজা কুকুরের সাহায্যে অভিযুক্তকে খুঁজে পায়। অবশেষে তাকে আখের ক্ষেতে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায় এবং গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তের খবর দেওয়ার জন্য এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত আগেও নারীদের হয়রানি ও চেইন স্ন্যাচিংয়ের মত ঘটনায় জড়িত ছিল।
প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধ
পীড়িতার বক্তব্য অনুযায়ী, সে ফালতন যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিল, তখন গাদে তাকে কথায় বুঝিয়ে ফাঁদে ফেলে। সে ‘দিদি’ বলে তাকে বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করে এবং বলে যে সাতারার বাস অন্য জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রতারণার মাধ্যমে সে তাকে একটি খালি এসি বাসে নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে। পুলিশ তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত আগেও নারীদের হয়রানি করত। তার ঘনিষ্ঠ একজন নারীর সাথেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।