সীতামঢ়ী মন্দির ভাঙচুর: তীব্র উত্তেজনা ও গ্রেফতারের দাবি

সীতামঢ়ী মন্দির ভাঙচুর: তীব্র উত্তেজনা ও গ্রেফতারের দাবি
সর্বশেষ আপডেট: 28-02-2025

সীতামঢ়ী উত্তেজনা: বিহারের সীতামঢ়ী জেলায় মহাশিবরাত্রির রাতে কিছু অশান্তিপ্রিয় ব্যক্তি পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছিল। ডুমরা থানা এলাকার পারমানন্দপুর গ্রামে অবস্থিত একটি মন্দিরে ঢুকে শিব, পার্বতী এবং কার্তিকেয়ের মূর্তিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমনকি মন্দিরের পাশে অবস্থিত একটি झोपड़ीতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সমগ্র এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

মন্দিরে ভাঙচুর, এলাকায় তীব্র উত্তেজনা

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাতে কিছু অসামাজিক ব্যক্তি মন্দিরে ভাঙচুর করে। সকালে যখন স্থানীয়রা এই ঘটনার কথা জানতে পারে, তখন গ্রামে ব্যাপক জনসমাগম হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

গণেশ ও কার্তিকেয়ের মূর্তি মন্দির থেকে বের করে ফেলা

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারীরা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত ভগবান গণেশ ও কার্তিকেয়ের মূর্তিগুলি তুলে বাইরে ফেলে দেয় এবং কিছু মূর্তি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে। গ্রামবাসীদের মধ্যে এই কাজ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়, যার ফলে প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা করতে হয়।

ডিএম-এসপি ঘটনাস্থলে, পুলিশ চৌকি স্থাপনের দাবি

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে ডিএম রিচি পান্ডে এবং এসপি অমিত রঞ্জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কর্তৃপক্ষ এলাকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। সদর ডিএসপি রাম কৃষ্ণের নেতৃত্বে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গ্রামবাসীরা এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে এলাকায় স্থায়ী পুলিশ চৌকি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে।

বিহারে ধর্মীয় স্থানে হামলার বাড়বাড়ন্ত?

সীতামঢ়ীর এই ঘটনা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গত কয়েক সময় ধরে বিহারের অনেক জেলায় ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রশ্ন উঠছে, এগুলি কি কেবল কিছু অসামাজিক ব্যক্তির কাজ, নাকি এর পিছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে?

এখনই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কি দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারবে, নাকি এই ঘটনাও ঠান্ডা বাস্তে চলে যাবে? তা দেখার বিষয়।

Leave a comment