সালমান খানের ঈদ রিলিজ ‘সিকন্দর’ বক্স অফিসে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০ কোটি টাকার বাজেটের বিপরীতে ৯ম দিনের আয় মাত্র ১.৭৫ কোটি টাকা। জানুন পুরো রিপোর্ট।
সিকন্দর বক্স অফিস দিন ৯: সালমান খানের অধীর আকাঙ্ক্ষিত চলচ্চিত্র ‘সিকন্দর’ ঈদে বক্স অফিসে ধুম ধাম করে সাফল্য অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছিল, কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছে সাড়া ফেলতে পারেনি। এখন রিলিজের ৯ম দিনে অর্থাৎ দ্বিতীয় সোমবারে চলচ্চিত্রটির আয় তার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গেছে। এখন প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ‘সিকন্দর’ সালমানের সেসব চলচ্চিত্রের তালিকায় যুক্ত হয়েছে যা তার তারকাধারার পরও বক্স অফিসে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রথম সপ্তাহেই দুর্বল ধারণ
‘সিকন্দর’ তার প্রথম সপ্তাহে মোট ৯০.২৫ কোটি টাকা আয় করেছে। যদিও এই সংখ্যাটি বড় মনে হতে পারে, কিন্তু সালমান খানের মতো সুপারস্টারের চলচ্চিত্রের জন্য এটিকে গড়ের চেয়েও নীচে মনে করা হচ্ছে। চলচ্চিত্রের শুরুতেই দর্শকদের গল্প এবং পরিচালনার দিকটি হতাশ করেছে, যার প্রভাব এর আয়ের উপর স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। প্রথম সপ্তাহের পর চলচ্চিত্রটি একক অঙ্কে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
দ্বিতীয় সপ্তাহে হ্রাসের ধারা অব্যাহত
দ্বিতীয় সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। ৮ম দিনে ‘সিকন্দর’ ৪.৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যখন ৯ম দিনে এই সংখ্যা আরও কমে ১.৭৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এটি এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন আয়, যা থেকে এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে চলচ্চিত্রটির উন্নয়ন সম্পূর্ণরূপে থেমে গেছে। এখন পর্যন্ত ভারতে চলচ্চিত্রটির মোট আয় ১০৪.২৫ কোটি টাকা।
২০০ কোটি টাকার বাজেটের সামনে অসহায় ‘সিকন্দর’
‘সিকন্দর’ এর বাজেট প্রায় ২০০ কোটি টাকা বলে জানা যাচ্ছে, এবং বর্তমান আয় দেখে এর খরচ উঠানোও অসম্ভব মনে হচ্ছে। চলচ্চিত্রটির ধীর গতি এবং দর্শকদের ক্রমশ হ্রাসমান আগ্রহ এটিকে প্রায় ব্যর্থতার শ্রেণীতে নিয়ে এসেছে। সমালোচক এবং সাধারণ দর্শক উভয়েই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, চিত্রকথার উপর প্রশ্ন তুলেছেন।
‘জাট’এর আগমন ‘সিকন্দর’র জন্য শেষ আঘাত হবে?
১০ এপ্রিল সানি দেওল এবং রণদীপ হুড্ডার চলচ্চিত্র ‘জাট’ সিনেমাঘরে মুক্তি পাচ্ছে। ট্রেড রিপোর্ট অনুসারে, ‘জাট’ আসার সাথে সাথেই ‘সিকন্দর’র স্ক্রিন শেয়ার আরও কমে যাবে, যার ফলে এর বাকি আয়ের উপরও নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে। তাই ‘সিকন্দর’র কাছে আর কোনো বড় সুযোগ নেই বলে মনে হচ্ছে।
সালমান খানের তারকাধারাও কাজে লাগেনি
‘সিকন্দর’ এই ব্যাপারের প্রমাণ হয়ে উঠেছে যে শুধুমাত্র বড় তারকা এবং উচ্চ বাজেট দিয়ে কোনও চলচ্চিত্র চলে না। দর্শকরা এখন ভাল গল্প এবং শক্তিশালী কন্টেন্টকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সালমান খানের তারকাধারা এবার বক্স অফিসে ফিকে হয়ে গেছে এবং ‘সিকন্দর’ একটি দুর্বল চলচ্চিত্র হিসাবে স্মরণীয় হবে। ‘সিকন্দর’র বর্তমান কর্মক্ষমতা থেকে স্পষ্ট যে দর্শকদের পছন্দ অনেক বদলে গেছে। শুধু নাম ও ফর্মুলা চলচ্চিত্র দিয়ে আর চলবে না। কন্টেন্টই রাজা, আর যদি তা শক্তিশালী না হয় তাহলে বড় বড় সুপারস্টাররাও বক্স অফিসে ব্যর্থ হতে পারে।