স্টার কিডদের ডেবিউয়ের ধারার মধ্যে ইব্রাহিম আলি খান এবং খুশি কাপুর তাদের ছবির পর ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এবার হানসাল মেহতা তাদের সমর্থনে এসেছেন।
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সৈফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের ডেবিউ ছবি ‘নাদানিয়া’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু এর পর থেকে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জমে জমে ট্রোল করা হচ্ছে। ছবিতে তার সাথে খুশি কাপুরও দেখা গেছে এবং উভয়কেই দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং হওয়া এই ছবি নিয়ে দর্শকদের বক্তব্য হলো, স্টার কিডদের শুধুমাত্র তাদের পরিবারের কারণে সুযোগ দেওয়া হয়। এদিকে, বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা হানসাল মেহতা স্টার কিডদের পক্ষে এসে ট্রোলারদের লক্ষ্য করেছেন।
হানসাল মেহতার ট্রোলিং-এর কড়া জবাব
চলচ্চিত্র শিল্পে নিজের স্পষ্টবাদী বক্তব্যের জন্য পরিচিত হানসাল মেহতা সম্প্রতি এই বিষয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, লোকেরা ভাবনাচিন্তা না করেই স্টার কিডদের ট্রোল করছে। "আমরা কি এই ছেলেমেয়েদের সুযোগ দেওয়ার আগে তাদের পরিশ্রম দেখেছি? যারা তাদের ট্রোল করছে তারা খুবই অভদ্র এবং অন্যায় করছে। যখন তাদের বাবা-মা ডেবিউ করেছিলেন, তখনও তাদের সংগ্রাম করতে হয়েছিল। পার্থক্য শুধু এটাই যে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এই বিষয়গুলি বেশি দেখা যায়।"
হানসাল মেহতার মতে, কোনো নতুন অভিনেতাকে বিচার করার আগে তার পরিশ্রম এবং প্রতিভাকে পরীক্ষা করা জরুরি। তিনি বলেছেন যে, কেউ শুধু তার পরিবারের নামের উপর নির্ভর করে সফল হতে পারে না, তার জন্য পরিশ্রম এবং প্রস্তুতি জরুরি।
‘নাদানিয়া’ নিয়ে কেন এতো হইচই?
নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং হওয়া ছবি ‘নাদানিয়া’ দর্শকদের কাছ থেকে ঠান্ডা প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের বক্তব্য হলো, ছবির কন্টেন্ট দুর্বল এবং এতে স্টার কিডদের জোর করে লঞ্চ করা হয়েছে।
• খুশি কাপুর এবং ইব্রাহিম আলি খানের অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন
• নেটফ্লিক্সকে ‘ভাই-ভাতিজাতিবাদ’ ছড়ানোর জন্য ট্রোল করা হচ্ছে
• গল্প নিয়ে দর্শকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন
তবে, কিছু লোক এমনও আছেন যারা নতুন শিল্পীদের সমর্থন করছেন এবং মনে করেন যে, একজন অভিনেতাকে তার প্রথম ছবি থেকেই বিচার করা ঠিক নয়।
স্টার কিডদের নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠে?
বলিউডে স্টার কিডদের নিয়ে সবসময়ই আলোচনা হয়ে আসছে। লোকেরা মনে করে যে, তাদের সংগ্রাম না করেই সরাসরি বড় ব্যানার থেকে লঞ্চ করা হয়, যখন বাইরে থেকে আসা প্রতিভাবান শিল্পীরা এই সুযোগ পায় না। হানসাল মেহতা এ ব্যাপারে বলেছেন, "প্রতিটি স্টার কিডকে লঞ্চ করার আগে এটা দেখা জরুরি যে সে স্ক্রিনে আসার জন্য প্রস্তুত কিনা। এটা মেনে নেওয়া ভুল যে কেউ শুধু তার পরিবারের কারণে ভালো অভিনেতা হয়ে উঠবে।"
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, অনেক স্টার কিড শুধু বড় ব্যানারের ছবিই বেছে নেয়, যাতে তাদের দ্রুত লাইমলাইটে আসা যায়।
সানি দেওল এবং ঋত্বিক রোশন-এর সাথে তুলনা
হানসাল মেহতা একটি ঘটনা শেয়ার করে বলেছেন যে, তিনি একজন স্টার কিডকে একটি আলাদা ধরণের ছবি অফার করেছিলেন, কিন্তু তার উপদেষ্টারা তাকে বড় ব্যানারের ছবি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাকে একই ধরণের জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, যেমনটি একসময় সানি দেওল, ঋত্বিক রোশন অথবা টাইগার শ্রফ পেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছেন যে, আজকাল স্টার কিডরা বড় ব্যানার এবং উচ্চ প্রোফাইল লঞ্চের জন্য বেশি আগ্রহী থাকে, যদিও ছবির গল্প তেমন শক্তিশালী নাও হতে পারে।
ইব্রাহিম এবং খুশিকে দ্বিতীয় সুযোগ মিলবে কি?
যদিও ‘নাদানিয়া’-র খারাপ রিভিউয়ের পরেও আশা করা হচ্ছে যে, ইব্রাহিম আলি খান এবং খুশি কাপুর আরও ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। চলচ্চিত্র শিল্পে এটা সাধারণ ব্যাপার যে, প্রথম প্রজেক্ট হিট না হলেও পরিশ্রম এবং সঠিক পছন্দের মাধ্যমে করিয়ার গড়ে তোলা যায়। এখন দেখার বিষয় হলো, উভয় অভিনেতা তাদের পরবর্তী প্রজেক্টগুলিতে কেমন পারফর্ম করে।