দেহরাডুনে বিজেপি নেতার গুলি করে হত্যা

দেহরাডুনে বিজেপি নেতার গুলি করে হত্যা
সর্বশেষ আপডেট: 04-06-2025

সোমবার মধ্যরাত্রির পর দেহরাডুনের প্রেমনগর এলাকার মাণ্ডুওয়ালায় পিপল চত্বরে একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা, রোহিত নেগীর, গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

অপরাধ সংবাদ: দেহরাডুনের প্রেমনগর এলাকায় আবারও হিংসার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে স্থানীয় বিজেপি নেতা রোহিত নেগীর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনাটি সোমবার মধ্যরাত্রির পর মাণ্ডুওয়ালায় অবস্থিত পিপল চত্বরের কাছে ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ একজন মহিলা বন্ধুকে কেন্দ্র করে চলা বিরোধকে এই হত্যার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছে। পুলিশ অভিযুক্ত আজহর ত্যাগীর খোঁজ শুরু করেছে, যে মুজফ্ফরনগর (ইউপি) এর বাসিন্দা।

ঘটনার পুরো কাহিনী

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২২ বছর বয়সী রোহিত নেগী প্রোপার্টি ডিলার ছিলেন এবং তিনি তার কিছু বন্ধুদের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে করে আজহর ত্যাগী তার গাড়ির সামনে এসে সরাসরি তার গলায় গুলি করে। গুলি লাগার সাথে সাথে রোহিত মাটিতে পড়ে যান, তাকে তৎক্ষণাৎ তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহিলা বন্ধুকে কেন্দ্র করে চলা বিরোধ

জানা গেছে, রোহিতের এক বন্ধুর মুসলিম সম্প্রদায়ের এক যুবতীর সাথে বন্ধুত্ব ছিল, যার ফলে তারা দুজনে একসাথে থাকত। এই সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়ে মুজফ্ফরনগর निवासी আজহর ত্যাগী রোহিতের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা পোষণ করে আসছিল। বলা হচ্ছে, এই বিরোধ বহুদিন ধরে চলে আসছিল এবং সেই কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

এই বিরোধে আজহর ত্যাগী রোহিতকে নানা অজুহাতে ডেকে এনে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। ঘটনার সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে পুলিশ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে।

পুলিশের কার্যক্রম ও তদন্ত

এসপি সিটি প্রমোদ শাহ জানিয়েছেন, ঘটনার পর আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত চারটি দল গঠন করে আজহর ত্যাগীর খোঁজ তীব্র করেছে। মৃতের বন্ধু অভিষেক বর্তোয়ালের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) ধারা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে থাকা প্রকৃত কারণগুলি জানতে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য ঘটনার সকল দিক তদন্ত করছে।

Leave a comment