এই সপ্তাহে শেয়ার বাজার বৃদ্ধি নিয়ে শেষ হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তি ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। সেন্সেক্স ও নিফ্টিতে যথাক্রমে ০.৪৬% ও ০.৩৩% বৃদ্ধি হয়েছে।
স্টক মার্কেট সংক্ষিপ্তসার: ঘরোয়া শেয়ার বাজার এই সপ্তাহে (৩ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি) শক্তিশালীভাবে শেষ হয়েছে। তবে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাজারে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। চারটি ট্রেডিং সেশনে হ্রাস সত্ত্বেও, দুটি প্রধান বেঞ্চমার্ক ইন্ডেক্স সেন্সেক্স ও নিফ্টি ৫০ যথাক্রমে ০.৪৬% ও ০.৩৩% বৃদ্ধি পেতে সক্ষম হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুক্রবার সেন্সেক্স ৭৭,৫০০-এ শেষ হয়েছিল, অন্যদিকে এই সপ্তাহে এটি ৭৭,৮৬০-এ শেষ হয়েছে, অর্থাৎ সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সেন্সেক্স ৩৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)-এর নিফ্টি-৫০ও এই সপ্তাহে (৩ ফেব্রুয়ারি-৭ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২৩,৫৬০-এ শেষ হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তিতে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার বৃদ্ধি
এই সপ্তাহে বাজারে উত্থানের ফলে বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তিতে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার বৃদ্ধি হয়েছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE)-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মোট মার্কেট ক্যাপ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ছিল ৪২,৪৯৯,৮৮৭ কোটি টাকা, যা এই শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেড়ে ৪২,৩৯৩,৯০৭ কোটি টাকা হয়েছে। এভাবে কোম্পানিগুলির মার্কেট ক্যাপ ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে।
বাজারে উত্থানের পিছনে প্রধান কারণগুলি
আমেরিকান ট্যারিফ শুল্কের উপর স্বস্তি: আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন থেকে আমদানির উপর ট্যারিফ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণার পর সোমবার বিশ্ববাজারে হ্রাস পেয়েছিল, যার প্রভাব ঘরোয়া বাজারেও পড়েছিল। কিন্তু যখন ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো ও কানাডার উপর প্রস্তাবিত ট্যারিফ শুল্ক ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন শেয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে।
এমপিসি মিটিংয়ের প্রভাব: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)-এর আর্থিক নীতি কমিটি (MPC)-এর বৈঠকের ফলাফলের আগে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব এই সপ্তাহে বাজারকে প্রভাবিত করেছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাহার: বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (FIIs) কর্তৃক ভারতীয় বাজার থেকে ক্রমাগত প্রত্যাহার বাজারের মনোভাবকে প্রভাবিত করেছে। এক্সচেঞ্জ ডেটা অনুযায়ী, FIIs বৃহস্পতিবার ৩,৫৪৯.৯৫ কোটি টাকার ইকুইটি বিক্রি করেছে।
কোম্পানিগুলির ত্রৈমাসিক ফলাফল: অনেক ভারতীয় কোম্পানির ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যার ফলে বাজারের মনোভাবের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আগামীতে বাজারের অবস্থা কেমন হবে?
আগামী সপ্তাহে বাজারের চাল বিশ্ববাজারের সংকেত, বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ এবং ঘরোয়া আর্থিক তথ্যের উপর নির্ভর করবে। আমেরিকান এবং বিশ্ববাজারের চাল, ক্রুড অয়েলের দামের ওঠানামা এবং কোম্পানিগুলির ত্রৈমাসিক ফলাফলও বিনিয়োগকারীদের ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সাথে বাজারে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
