বিজেপির নারী নেত্রী অঙ্কিতা বর্মা শত শত নারীর সাথে জেএমএম-এ যোগ দিলেন। রাঁচিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ পান্ডে তাদের সদস্যপদ প্রদান করেন এবং দলের নীতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
ঝাড়খণ্ড রাজনীতি: ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে এখন চলছে তীব্র উত্তালতা। রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) একটি বড় রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নারী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অঙ্কিতা বর্মা দল ছেড়ে জেএমএম-এ যোগ দিয়েছেন। তার সাথে রাঁচির শত শত নারীও জেএমএম-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন, যার ফলে দলের গ্রাসরুট স্তরে ব্যাপক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
দলে বর্ণাঢ্য স্বাগত, জেএমএম সাধারণ সম্পাদকের শপথ
রাঁচির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেএমএম-এর সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র বিনোদ পান্ডে নতুন সকল সদস্যদের উষ্ণ আদর জানান। এ উপলক্ষে তিনি দলের নীতি ও আদর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন এবং সকলকে রাজ্যের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালনের শপথ গ্রহণ করান।
শিবু সোরেন ও হেমন্ত সোরেনের নীতিতে আস্থা প্রকাশ
নব-যুক্ত কর্মীরা দলের স্থপতি শিবু সোরেন ও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করেন। নারীরা জানান, তারা ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নের জন্য জেএমএম-এর সাথে মিলে কাজ করতে চান।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ নারী জেএমএম-এর হাত ধরলেন
অঙ্কিতা বর্মার সাথে যারা জেএমএম-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে রানী দেবী, সরিটা দেবী, মধু দেবী, সুধা দেবী, অনীতা দেবী, ববিতা দেবী, লক্ষ্মী দেবী, আরতি দেবী, সংগীতা দেবী, সুনীতা দেবী এবং গুড়িয়া দেবী প্রমুখ। এ সকল নারী কর্মী সমাজ ও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল
সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের অনেক শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে রাঁচি জেলা সংযোজক প্রধান মোস্তাক আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য অশ্বিনী শর্মা, ডাঃ হেমলাল মেহতা, নয়নতারা ওরাও, সন্ধ্যা গুড়িয়া এবং প্রদীপ মিরধা উল্লেখযোগ্য।
বিজেপির উপর আদিবাসী-মূলবাসী বিরোধী রাজনীতির অভিযোগ
এদিকে, জেএমএম সাধারণ সম্পাদক বিনোদ পান্ডে বিজেপির উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়ে বলেন, দল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের নামে রাজ্যে আদিবাসী ও মূলবাসীদের মধ্যে ফাটল তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। তিনি অভিযোগ করেন, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র যার মাধ্যমে বিজেপি ঝাড়খণ্ডের ঐক্য ভেঙে দিতে চায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিশেষ টাস্ক ফোর্সের আসল উদ্দেশ্য আদিবাসী সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো এবং দুর্বল করা। বিনোদ পান্ডে আরও অভিযোগ করেন যে, বিজেপি তাদের শাসনামলে কখনোই সরনা ধর্ম কোডকে স্বীকৃতি দেয়নি, যা আদিবাসী সমাজের একটি বড় দাবি।
নারী নিরাপত্তা নিয়েও বিজেপিকে ঘেরাও
নারী নিরাপত্তার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পান্ডে বলেন, বিজেপির ঝাড়খণ্ড সরকারের উপর প্রশ্ন তোলার কোন নৈতিক অধিকার নেই। আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর এবং যদি কোথাও অনুপ্রবেশ হয় তবে তার উত্তর কেন্দ্রকে দিতে হবে।