বুধবার সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সদস্য রামজীলাল সুমনের বাসভবনে কর্ণী সেনার কর্মীরা ব্যাপক উৎপাত করে। লাঠি, ডণ্ড ও পাথর নিয়ে সশস্ত্র প্রদর্শনকারীরা সাংসদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়।
আগ্রা: বুধবার সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সদস্য রামজীলাল সুমনের বাসভবনে কর্ণী সেনার কর্মীরা ব্যাপক উৎপাত করে। লাঠি, ডণ্ড ও পাথর নিয়ে সশস্ত্র প্রদর্শনকারীরা সাংসদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং কয়েকজনকে আটক করে। এই ঘটনায় পুলিশ দুটি এফআইআর দায়ের করেছে, যার একটি সাংসদের ছেলের পক্ষ থেকে এবং অন্যটি পুলিশ কর্তৃক।
কিভাবে হামলা হল?
ঘটনাটি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজীলাল সুমন কর্তৃক সংসদে দেওয়া এক বক্তব্যের সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে। তার বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্ণী সেনার কয়েকশো কর্মী গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং এমনকি বুলডোজার নিয়ে কুবেরপুর থেকে আগ্রায় অবস্থিত সাংসদের বাসভবনের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়।
ভাঙচুর এবং হিংসার দৃশ্য
সংজয় প্লেসে অবস্থিত সাংসদের এডিএ ফ্ল্যাটের বাইরে কর্ণী সেনার কর্মীরা ব্যাপক হুলস্থুল করে।
কলোনির গেট ভাঙার চেষ্টা করা হয়।
বাড়িতে পাথর ছোড়া হয় এবং জানালা-দরজার কাঁচ ভাঙা হয়।
বাইরে পার্ক করা সাংসদ ও দলের অন্যান্য নেতাদের ছয়টির বেশি গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়।
চেয়ার এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও ভাঙচুরের শিকার হয়।
পরিবারের উপরও বিপদ নেমে আসে
হামলার সময় সাংসদ রামজীলাল সুমন দিল্লিতে ছিলেন, কিন্তু তাঁর ছেলে ও প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ সুমন বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেও ছিলেন। হামলার সময় পরিবার নিজেদের ভেতরে আটকে রেখেছিল এবং বাইরে বেরোয়নি। রণজিৎ সুমন জানান, দাঙ্গাকারীরা হঠাৎ করে এসে হামলা শুরু করে। পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, যার ফলে পরিবারকে বেশ কিছুক্ষণ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সহ্য করতে হয়।
হুলস্থুলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাঙ্গাকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লাঠিচার্জ করে। কিছু হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের শনাক্ত করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনায় দুটি এফআইআর দায়ের
প্রথম এফআইআর: সাংসদের ছেলে রণজিৎ সুমন দায়ের করেছেন, যাতে হামলা ও সম্পত্তির ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় এফআইআর: পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা হয়েছে, যাতে জনশান্তি ভঙ্গ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিক্ষুব্ধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।