ভারতের প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সচিব-২ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন দায়িত্বে তিনি নীতি নির্মাণ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আর্থিক বিষয়গুলিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টাদের একজন হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন।
নয়া দিল্লি: ভারতের প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সচিব-২ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন দায়িত্বে তিনি নীতি নির্মাণ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আর্থিক বিষয়গুলিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টাদের একজন হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। দাসের এই নিয়োগ ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা এবং আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে বিবেচনা করে করা হয়েছে।
শক্তিকান্ত দাস অর্থনৈতিক নীতির অভিজ্ঞ কৌশলী
শক্তিকান্ত দাসের আর্থিক নীতি, রাজস্ব সংস্কার এবং বাজেট প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ৮টি কেন্দ্রীয় বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং নোটবন্দী ইত্যাদি বড় সিদ্ধান্তের সময় নীতি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁকে ভারতের অন্যতম অভিজ্ঞ অর্থনৈতিক প্রশাসক হিসেবে গণ্য করা হয়, যিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় রাজস্ব, অর্থনৈতিক বিষয় এবং সার বিভাগেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নোটবন্দী এবং বাজেট সংস্কারে পালন করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
শক্তিকান্ত দাসের নাম ২০১৬ সালের নোটবন্দী নীতির সাথেও জড়িত, যখন তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তখন অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব ছিলেন এবং নগদ অর্থের ব্যবস্থা, নতুন মুদ্রা নীতি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকাকে প্রশংসা করা হয়েছিল। এছাড়াও, তিনি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে উন্নীত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শক্তিকান্ত দাসের প্রধান সাফল্য
* আরবিআই গভর্নর (২০১৮-২০২৪) হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মহামারীর সময় ভারতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছেন।
* G20, BRICS, IMF, এবং AIIB-এর মতো বিশ্বব্যাপী মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
* অর্থ সচিব এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব হিসেবে ভারতের বাজেট এবং কর ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছেন।
* নোটবন্দী, জিএসটি এবং ব্যাংকিং সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রধান সচিব-২ হিসেবে কী হবে তাঁর দায়িত্ব?
* অর্থনৈতিক নীতি এবং আর্থিক কৌশলগত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া।
* সরকারের প্রধান পরিকল্পনা এবং বাজেট সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে নির্দেশনা প্রদান করা।
* বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের নীতি প্রণয়ন করা।
* নীতি আয়োগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারী বিভাগের সাথে সমন্বয় সাধন করা।