রাম মন্দিরের প্রথম ইট স্থাপনকারী কামেশ্বর চৌপালের দেহাবসান

রাম মন্দিরের প্রথম ইট স্থাপনকারী কামেশ্বর চৌপালের দেহাবসান
সর্বশেষ আপডেট: 07-02-2025

কামেশ্বর চৌপালের দেহাবসান: দিল্লীর গঙ্গারাম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রাম মন্দিরের প্রথম ইট স্থাপনকারী

Kameshwar Chaupal Death: দিল্লীর গঙ্গারাম হাসপাতালে দেহাবসান ঘটল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের ট্রাস্টি এবং রাম মন্দিরের জন্য প্রথম ইট স্থাপনকারী কামেশ্বর চৌপালের। গত এক বছর ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাদের সংগ্রামের জন্য সংঘ তাঁকে প্রথম কারসেবকের মর্যাদা দিয়েছিল।

বিহারের সুপৌল জেলায় জন্ম

কামেশ্বর চৌপালের জন্ম বিহারের সুপৌল জেলার কমরৈল গ্রামে। ১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর তিনি অযোধ্যায় শ্রীরাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম ইট স্থাপন করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেশজুড়ে হাজার হাজার সাধু-সন্ত এবং লক্ষ লক্ষ কারসেবকের উপস্থিতিতে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (বিএইচপি) যুক্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

রাম মন্দির আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

কামেশ্বর চৌপাল রাম মন্দির আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর প্রথম ইট স্থাপনের পর তিনি দেশজুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হন। তার এই উদ্যোগ রাম মন্দির আন্দোলনের জন্য মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ই নভেম্বর রাম মন্দিরের পক্ষে রায় আসে এবং ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারী রামললার ভব্য মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়।

রাজনৈতিক যাত্রা এবং সংগ্রাম

শিলান্যাসের পর কামেশ্বর চৌপাল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯১ সালে তিনি বিহারের রোসড়া সংরক্ষিত লোকসভা আসন থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হন, কিন্তু পরাজিত হন। পরে ১৯৯৫ সালে বেগুসরাইয়ের বখরি বিধানসভা আসন থেকেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু তিনি আবার পরাজিত হন।

বিধান পরিষদ সদস্য হিসেবে অবদান

২০০২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি তাঁকে বিহার বিধান পরিষদের সদস্য করে এবং তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। এছাড়াও, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে তিনি ‘রুটির সাথে রাম’ স্লোগান দিয়েছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দেয়।

ধর্মগুরুদের দ্বারা নির্বাচিত প্রথম দলিত নেতা

কামেশ্বর চৌপাল নিজেই জানিয়েছিলেন যে, শিলান্যাসের জন্য প্রথম ইট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যখন ধর্মগুরুরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে একজন দলিত এই কাজটি করবেন। এটি তার জন্য একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল যে তিনি নিজেই এই ঐতিহাসিক কাজের অংশ হয়েছিলেন।

কামেশ্বর চৌপালের সংগ্রাম এবং তাঁর ভূমিকা ভারতীয় রাজনীতি এবং রাম মন্দির আন্দোলনে সর্বদা স্মরণীয় থাকবে। তাঁর অবদান সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীকে একত্রিত করে এবং রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

Leave a comment