পশ্চিমী বিক্ষোভের প্রভাবে রাজস্থানে ১ মার্চ বহু জেলায় ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়ে কৃষকদের জন্য সংকট তৈরি হয়েছে। ভরতপুর, চুরু, আলোয়ারসহ বহু জেলায় প্রবল বাতাসের সাথে শিলাবৃষ্টির ফলে রবি ফসলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা জেলা কালেক্টরদের সাথে জরুরি বৈঠক করে প্রতিবেদন তলব করেছেন এবং কৃষকদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন
আবহাওয়া দপ্তরের মতে, শনিবার সন্ধ্যায় ভরতপুর ও ধৌলপুরে ভারী শিলাবৃষ্টি হয়, যার ফলে অনেক এলাকায় পানি জমে যায়। আলোয়ারে প্রবল বাতাসের সাথে বৃষ্টির ফলে সাধারণ জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটে, যখন ঝুঁঝুনু ও তিজারায় শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষেতে থাকা ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের কৃষকদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তারা আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন।
তাপমাত্রা কমেছে, ঘন কুয়াশা পড়েছে
আবহাওয়া দপ্তরের মতে, শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ভরতপুর ও ধৌলপুরে ভারী শিলাবৃষ্টি হয়, যার ফলে অনেক এলাকায় পানি জমে যায়। অন্যদিকে, আলোয়ারে প্রবল বাতাসের সাথে বৃষ্টির ফলে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটে, যখন ঝুঁঝুনু ও তিজারায় শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষেতে থাকা ফসল সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়।
রাজস্থানের বহু জেলায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। দৌসা, করৌলি, আলোয়ার ও ভরতপুরে ঠান্ডা বাতাসের ফলে আবহাওয়া আরও শীতল হয়ে উঠেছে। এছাড়া, ঘন কুয়াশার ফলে দৃশ্যমানতা কমে যায়, যার ফলে সড়ক পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে।
বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির পরিসংখ্যান
জয়পুর আবহাওয়াবিদ্যা কেন্দ্রের মতে, শনিবার সকাল ৮:৩০ টা পর্যন্ত চুরুতে ২৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যখন
• ঝুঁঝুনুর চিড়াওয়াতে ১৮ মিমি
• মালসিসারে ১৪ মিমি
• বুহানাতে ১৩ মিমি
• তিজারা ও তারানগর (চুরু)তে ১০-১০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়াও, অন্যান্য জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে গম, সরিষা ও ছোলা ইত্যাদি ফসলে ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন, কিন্তু উদ্বেগ অব্যাহত
রাষ্ট্র সরকার কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছে যে, সমীক্ষার ভিত্তিতে দ্রুত ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হবে। তবে, রবি ফসলে ক্ষতির ফলে কৃষকদের উদ্বেগ কমেনি। কৃষকদের দাবি, শিলাবৃষ্টি তাদের মাসের পর মাসের পরিশ্রম নষ্ট করে দিয়েছে। এখন তারা সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছেন যাতে তাদের আর্থিক অবস্থার উপর বেশি প্রভাব না পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীও প্রভাবিত কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাজস্থানে আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তন কৃষকদের জন্য বড় বিপদ নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয় হলো সরকার কত দ্রুত ক্ষতির পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেয়।