পাকিস্তানের মন্ত্রী ও স্পিকারের সাথে লস্কর সন্ত্রাসীদের মঞ্চ ভাগাভাগি: ভারতবিরোধী ষড়যন্ত্র উন্মোচিত

পাকিস্তানের মন্ত্রী ও স্পিকারের সাথে লস্কর সন্ত্রাসীদের মঞ্চ ভাগাভাগি: ভারতবিরোধী ষড়যন্ত্র উন্মোচিত
সর্বশেষ আপডেট: 29-05-2025

পাকিস্তানের মন্ত্রী, স্পিকার এবং লস্কর সন্ত্রাসীদের একই মঞ্চে দেখা যাওয়ার ছবি ভাইরাল। সৈয়দুল্লাহ কাসুরীকে বীর বলে উল্লেখ। ভারতবিরোধী বক্তব্য। পাকিস্তান সরকারের সন্ত্রাসবাদী মনোভাব উন্মোচিত।

পাকিস্তান সংবাদ: পাকিস্তানের রাজনীতি এবং সন্ত্রাসবাদের মধ্যেকার মিত্রতা আবারও উন্মোচিত হয়েছে। এবার পাঞ্জাব প্রদেশের কসুর জেলায় এক মঞ্চে লস্কর-ই-তৈয়বা-র মতো ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ মন্ত্রীরা একসাথে দেখা গেছে। এটি কোনও গুজব নয়, বরং ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এমন ছবি এবং ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের খাদ্যমন্ত্রী মালিক রশিদ আহমদ খান এবং পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার মালিক মোহাম্মদ আহমদ খান লস্কর-ই-তৈয়বার ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী আমির হামজা এবং সৈয়দুল্লাহ কাসুরীর সাথে মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছেন।

মঞ্চে গলে মিশে মন্ত্রী এবং সন্ত্রাসীরা

পাকিস্তানের নেতারা শুধুমাত্র সন্ত্রাসীদের সাথে মঞ্চ ভাগ করে নেননি, বরং তাদের জড়িয়ে ধরেছেন এবং উন্মুক্তভাবে ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। পাকিস্তানের মন্ত্রী সৈয়দুল্লাহ কাসুরী এবং হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদের সাথে হাত মিলিয়ে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। এই সময় সন্ত্রাসীদের পাকিস্তানের প্রকৃত শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাদের বীর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতবিরোধী বিষোদ্গারের মঞ্চ হয়ে উঠল লস্করের অনুষ্ঠান

লস্করের এই মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র বক্তব্য রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মালিক রশিদ বলেছেন যে পাকিস্তানের ২৪ কোটি জনগণ সৈয়দুল্লাহ কাসুরী এবং হাফিজ সঈদের রূপ ধারণ করেছে। একই সাথে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, ভারতের তরফ থেকে মুরিদকে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তরে হামলায় নিহত লস্কর কমান্ডার মুদাসিরের ভাইকে শাহবাজ সরকার চাকরি দেবে।

সৈয়দুল্লাহ কাসুরীকে "বীর" বলা হয়েছে

স্পিকার মালিক মোহাম্মদ আহমদ খান সন্ত্রাসী সৈয়দুল্লাহ কাসুরীকে বীর বলে উল্লেখ করেছেন এবং হাফিজ সঈদের পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলেছেন। তিনি মঞ্চ থেকে বলেছেন যে পাকিস্তান সরকার সর্বদা সন্ত্রাসীদের পাশে থাকবে। এই বক্তব্য পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী মনোভাব আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

খালিস্তানের স্লোগান এবং ISI-লস্করের ষড়যন্ত্র

অনুষ্ঠানের সময় লস্কর-ই-তৈয়বার সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা "খালিস্তান জিন্দাবাদ" স্লোগান দিয়েছেন। এটি স্পষ্টতই ভারতের বিরুদ্ধে চলমান ISI এবং লস্করের কর্মসূচির অংশ ছিল। আমির হামজা ২৪ মিনিট ধরে ভারতবিরোধী বিষাক্ত বক্তৃতা দিয়েছেন এবং ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। একই সাথে, সৈয়দুল্লাহ কাসুরী, যিনি সম্প্রতি ISI-এর বাহাওয়ালপুর অবস্থিত নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে ছিলেন, তিনিও মঞ্চ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য সমর্থন, ক্যামেরা বন্ধ করার ইঙ্গিত

অনুষ্ঠানের শেষে সৈয়দুল্লাহ কাসুরী পাকিস্তান সরকারের নেতাদের নাম উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর পরে সেখানে উপস্থিত দেহরক্ষীরা ক্যামেরা বন্ধ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই ইঙ্গিত এই কথা প্রমাণ করে যে পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, কিন্তু তা বিশ্বের কাছে প্রকাশ করতে চাইছে না। তবে, এখন এই মিত্রতা বিশ্বের কাছে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত হয়েছে।

Leave a comment