নাগপুরে গত কয়েকদিন ধরে যে সহিংসতা হয়েছিল, তার পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তবে শুক্রবার (২১শে মার্চ) রমজানের পবিত্র মাসের তৃতীয় জুমার নামাজের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র: নাগপুরে ১৭ই মার্চ যে সহিংসতা হয়েছিল তার পরে এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বহু এলাকায় কারফিউর কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। তবে, আজ শুক্রবার (২১শে মার্চ) রমজানের তৃতীয় জুমার নামাজের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। শহরের সকল মসজিদের বাইরে পুলিশের কড়া পাহারা রয়েছে এবং কর্মকর্তারা হাই অ্যালার্টে রয়েছেন।
শহরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মসজিদের বাইরে পুলিশ মোতায়েন
নাগপুর পুলিশ শহরের প্রধান মসজিদগুলির বাইরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। ড্রোন এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবেলায় দ্রুত কার্যকরী বাহিনী (RAF) এবং রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (SRPF) কেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নাগপুরে হওয়া সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ১০০ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনার সাথে জড়িত মোট ১২টি FIR দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে চারটি সাইবার পুলিশ এবং আটটি স্থানীয় পুলিশ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা সকল সন্দেহভাজনদের উপর নজর রাখছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকাল নাগপুরের সহিংসতা-প্রভাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটিতে রয়েছেন বর্ষীয় নেতা মানিকরাও ঠাকুরে, নিতিন রাউত, যশোমতি ঠাকুর, হুসেন দলভাই এবং সাজিদ পাঠান।
কী ছিল পুরো ঘটনা?
সোমবার (১৭ই মার্চ) নাগপুরের বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই সহিংসতা শুরু হয় যখন একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ছত্রপতি সম্ভাজী নগর জেলায় মোগল শাসক এবংজেবের কবর উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে একটি বিক্ষোভের সময় একটি আয়াত লেখা পোশাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাথর ছোড়া এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
শহরে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছে। প্রশাসন জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।