মোহালি আদালতের যাবজ্জীবন সাজা: স্বঘোষিত পাদ্রী বজিন্দর সিংহ ধর্ষণের দোষে দোষী

মোহালি আদালতের যাবজ্জীবন সাজা: স্বঘোষিত পাদ্রী বজিন্দর সিংহ ধর্ষণের দোষে দোষী
সর্বশেষ আপডেট: 01-04-2025

মোহালি আদালত স্বঘোষিত পাদ্রী বজিন্দর সিংহকে ধর্ষণের দোষে সাজা দিয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২৮শে মার্চ শুনানির পর এই রায় প্রদান করা হয়, যেখানে আদালত বজিন্দর সিংহকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে।

পাস্টর বজিন্দর সিংহ দোষী সাব্যস্ত: একজন স্বঘোষিত পাদ্রী, বজিন্দর সিংহকে ২০২৩ সালের একটা ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে মোহালি জেলা আদালত আজ (১ এপ্রিল ২০২৫) তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ের পর, পাদ্রী বজিন্দর সিংহকে পটিয়ালা জেলে পাঠানো হয়েছে। এই মামলাটি একজন নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে জিরকপুর থানায় দায়ের করা হয়েছিল, যার পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

সাজার ঘোষণা এবং অপরাধের বিবরণ

গত ২৮শে মার্চ শুনানি হয়েছিল, যেখানে আদালত প্রমাণ এবং সাক্ষীর ভিত্তিতে বজিন্দর সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। আদালতের এই রায়ে ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়ের আশায় ছিলেন। ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছিলেন যে পাদ্রী বজিন্দর সিংহ শুধুমাত্র তার যৌন নির্যাতনই করেননি, বরং ধর্মের নামে মানুষকে প্রতারণা এবং শোষণ করারও অভিযোগ আছে।

ধর্মান্তর এবং হওয়ালা অর্থের অভিযোগ

ভুক্তভোগী দাবি করেছিলেন যে বজিন্দর সিংহ মানুষকে ধর্মান্তরিত করার জন্য উৎসাহিত করতেন এবং এর জন্য বাইরের সূত্র থেকে হওয়ালা অর্থ পেতেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে বজিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে আরও অনেক মহিলা শোষণের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগী তাকে 'দানব' বলে অভিহিত করে ন্যায়ের দাবি জানিয়েছিলেন।

ন্যায়ের আশা এবং ভুক্তভোগীর সংগ্রাম

এই মামলার গভীরে গেলে, ভুক্তভোগী জানিয়েছিলেন যে গত ৭ বছর ধরে তিনি আদালত ও পুলিশের দৌড়াদৌড়ি করছেন। তিনি কখনো হার মানেননি এবং নিজের কণ্ঠ উঠাতে ক্রমাগত সংগ্রাম করেছেন। ভুক্তভোগীর কণ্ঠে এই আশাও ছিল যে এই রায়ের ফলে আরও অনেকে ন্যায়ের আশা পাবেন এবং এ ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই মামলাটি সমাজে একটি বড় বার্তা বহন করে, বিশেষ করে ধর্ম পালনের সময় যে কোনও ধরণের শোষণ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন এমন সকল মানুষের জন্য। আদালতের এই রায় স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোনও ধর্ম, জাতি বা অবস্থানের সুযোগ নিয়ে কাউকে ক্ষতি করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

Leave a comment