মহারাজগঞ্জে ৫৭ বছরের পুরনো অবৈধ মাদ্রাসা বুলডোজারে ভেঙে ফেলা হল। ভারত-নেপাল সীমান্ত ঘেঁষে অবৈধ দখল উচ্ছেদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
UP News: উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছে ৫৭ বছরের পুরনো একটি অবৈধ মাদ্রাসা প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ফরেন্দা তহশিল প্রশাসনের একটি দল চারটি বুলডোজার ব্যবহার করে মিনিটের মধ্যেই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দেয়। এ সময় অবস্থান করেছিল ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ বাহিনী, তবে কোনও ধরনের সংঘর্ষ হয়নি।
অবৈধ দখলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা
ধরাইচি গ্রামের খাদ গর্ত নামে সরকারি জমিতে মাদ্রাসার নামে অবৈধ দখল করা হয়েছিল। এর কিছু অংশে পাকা নির্মাণ ছিল এবং কিছু খালি জায়গা ক্ষেত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর রাজস্ব বিভাগ তদন্ত শুরু করে। লেখাপালের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং মাদ্রাসাটি বুলডোজারে ধ্বংস করা হয়।
উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অবৈধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অব্যাহত অভিযান
মহারাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ উত্তরপ্রদেশ সরকারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ দখল এবং অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অপসারণের নীতির অংশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে এ ধরনের স্থানে বুলডোজার চালানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, বহরাঈচ, লক্ষীমপুর খিরী এবং পিলিভীত প্রভৃতি জেলায় এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত মহারাজগঞ্জে ২৯টি মাদ্রাসা, ৫টি মাজার এবং বেশ কিছু মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। একইভাবে সমগ্র রাজ্যে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার এবং ৬টি ঈদগাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই অভিযান প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখল দূর করার এবং সরকারি জমি রক্ষার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রশাসনের দায়িত্ব
এই অভিযান থেকে স্পষ্ট হয় যে সরকার অবৈধ দখল নিয়ে কঠোর। স্থানীয় প্রশাসনের লক্ষ্য হল নিশ্চিত করা যে সরকারি জমি কোনও অবৈধ উপায়ে দখল করা হবে না। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও নিয়ম মেনে চলাও জরুরি। এই ধরনের ব্যবস্থার ফলে শুধুমাত্র জমির সুরক্ষা হয় না, আইন-শৃঙ্খলাও শক্তিশালী হয়।