প্রবর্তন অধিদপ্তর (ইডি) ১৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী অনুদান প্রদানকারী লটারি কিং “মার্টিন”-এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাটি তার কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ জব্দ করেছে, যা ঘটনাকে আরও গুরুতর করে তুলেছে।
ED News: কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা প্রবর্তন অধিদপ্তর (ইডি) লটারি কিং সান্তিয়াগো মার্টিন অর্থাৎ মার্টিনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। একাধিক স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তদন্ত সংস্থাটি মার্টিনের বিরুদ্ধে করা তদন্তে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা নগদ অর্থ জব্দ করেছে। এই নগদ অর্থ কলকাতা অবস্থিত মার্টিনের বাসস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মার্টিনের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান
ইডি হরিয়ানার ফরিদাবাদ, তামিলনাড়ু সহ মোট ২০টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। তদন্ত সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, মার্টিন ইতিমধ্যেই ইডি এবং আয়কর বিভাগের নজরদারিতে ছিলেন। ১৪ নভেম্বর সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানের সময় জব্দকৃত নগদ অর্থ সম্পর্কে মার্টিনের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি, যার পরে এই অর্থ জব্দ করা হয়।
অভিযোগ এবং পূর্ববর্তী অভিযান
মার্টিনের উপর কেরালায় জাল লটারি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে সিকিম সরকার প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পর তদন্ত সংস্থাটি মার্টিন এবং তার কোম্পানির ৪৫৭ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করেছে। ইডি সূত্র অনুযায়ী, ফরিদাবাদে মার্টিনের একটি কারখানাও রয়েছে, যেখানে লটারির ব্যবসা চলে।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মার্টিনের আলোচনা
মার্টিন সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড দাতাদের তালিকায় শীর্ষে থাকার কারণে আলোচনায় ছিলেন। তার কোম্পানি ফিউচার গেমস অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রায় ১,৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এর অধীনে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, কংগ্রেসের মতো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে মার্টিনের আলোচনা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
মার্টিনের জীবনযাত্রা এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক
মার্টিনের জীবন একটি সংগ্রামী সূচনা থেকে একটি বৃহৎ ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের গল্প। তামিলনাড়ু এবং কেরালায় একাধিক প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। মার্টিন একসময় দেশের সর্বাধিক আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।