কোকরাজার-গেলেফু রেলপথ: ৩৫০০ কোটি টাকার ডিপিআর প্রস্তুত

ভারতীয় রেলওয়ে অসমের কোকরাজার থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত ৬৯.০৪ কিমি দীর্ঘ রেলপথের জন্য ডিপিআর প্রস্তুত করেছে। ৩৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্প বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধি করবে।

India Bhutan Train: ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগের অতি প্রতীক্ষিত প্রকল্প নিয়ে একটি বড় আপডেট এসেছে। ভারতীয় রেলওয়ে অসমের কোকরাজার থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) প্রস্তুত করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর)-এর একজন মুখপাত্র শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। এই রেলপথ নির্মাণের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

৬৯.০৪ কিমি দীর্ঘ হবে রেলপথ

- এই রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ৬৯.০৪ কিমি, যা অসমের কোকরাজার রেল স্টেশনকে ভুটানের গেলেফু-র সাথে সংযুক্ত করবে।
- এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০০ কোটি টাকা।
- রেলওয়ে মুখপাত্রের মতে, এই প্রকল্পের জন্য চূড়ান্ত স্থান সমীক্ষা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন ডিপিআর-এর অনুমোদনের অপেক্ষা।

এই ছয়টি স্টেশনের উন্নয়ন হবে

এই রেল প্রকল্পের অধীনে ছয়টি নতুন স্টেশনের উন্নয়ন করা হবে, যা হল:

বালাজান
গরুভাসা
রুনিখাটা
শান্তিপুর
দাদগিরি
গেলেফু (ভুটান)

রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ভারত-ভুটান সম্পর্ক জোরদার হবে

- এই রেলপথ ভারত ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- ভুটান প্রথমবারের মতো রেল সংযোগ পাবে, যার ফলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
- ভারতের অসম রাজ্যের জন্য এটি অর্থনৈতিক ও পর্যটন সংক্রান্ত নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।
- পর্যটন বৃদ্ধির জন্য ভুটান সরকারও আরও কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করছে।

২০২৩ সালে হয়েছিল চুক্তি

- রেল সংযোগ নিয়ে ভারত ও ভুটানের মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে আলোচনা চলছিল।
- ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভুটান সফরকালে এই প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই পরিকল্পনার অধীনে দুটি রেল সংযোগ প্রস্তাবিত:

- কোকরাজার-গেলেফু রেলপথ
- বনারহাট-সমৎসে রেলপথ

ভারত সরকার নির্মাণ করবে

৬৯.০৪ কিমি দীর্ঘ কোকরাজার-গেলেফু রেলপথ নির্মাণ করবে ভারত সরকার।
এই রুটে ট্রেন চলাচলের দায়িত্ব নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার (এনএফআর) রেলওয়ের উপর থাকবে।

রেলপথের মূল ভিত্তিমালায় কি কি থাকবে?

এই প্রকল্পে ব্যাপক পরিসরে ভিত্তিমালা উন্নয়ন করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে:

২টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু
২৯টি বড় সেতু
৬৫টি ছোট সেতু
১টি রোড ওভার ব্রিজ
৩৯টি রোড আন্ডার ব্রিজ
১১ মিটার লম্বা দুটি সেতুর নির্মাণ

‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘পড়োশী প্রথম’ নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকল্প

- এই রেল প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘পড়োশী প্রথম’ নীতির আওতায় বিকশিত হচ্ছে।
- এর ফলে ভারত ও ভুটানের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও জোরদার হবে, যা দুই দেশকেই অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে।