কলকাতায় একজন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের সাথে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা এখন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। আদালতের নির্দেশের পর আজ সিবিআই ধর্ষণ মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করেছে। এই মামলায় আবারও আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই মামলার নোটিশ নিয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই মামলায় ৫ জন আইনজীবী পক্ষপাতিত্ব করবেন।
নয়াদিল্লি : কলকাতা চিকিৎসক হত্যা মামলা। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় একজন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের সাথে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা এখন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। আদালতের নির্দেশের পর আজ সিবিআই ধর্ষণ মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করেছে। এই মামলায় আদালতে আবারও শুনানি শুরু হয়েছে।
প্রতিবাদী চিকিৎসকদের ধর্মঘটের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে আশ্বাস দিয়েছে যে জাতীয় টাস্ক ফোর্স সকল স্টেকহোল্ডারের কথা শুনবে। এই আশ্বাস একটি শুনানির সময় দেওয়া হয়েছে, যেখানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি) নাগপুরের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন যে কলকাতা ধর্ষণ-হত্যা মামলা নিয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলনের কারণে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবাদী চিকিৎসকদের কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে এবং এনআইটি নাগপুরের আইনজীবীদের আশ্বাস দিয়েছে যে তাঁদের কাজে ফিরে আসার পর কোনও প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
সেবা প্রদানকে অগ্রাধিকার
আদালত এটাও বলেছে যে সরকারি হাসপাতালে আসা সকল রোগীর প্রতি তাদের সহানুভূতি রয়েছে এবং প্রশ্ন করেছে যে যদি চিকিৎসকরা কাজ না করেন তাহলে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা কীভাবে চলবে? এটা স্পষ্ট যে সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের অবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল, কিন্তু একই সাথে তাঁরা জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলিও অগ্রাধিকার দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো জাতীয় টাস্ক ফোর্স চিকিৎসক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কী সমাধান বের করে।
CISF রাজীব গান্ধী হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েছে
এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরীক্ষা করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। সিআইএসএফ মোতায়েনের মাধ্যমে রাজীব গান্ধী হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এতে চিকিৎসক, কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ হাসপাতালের নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা আর ঘটবে না।