ইন্ডিগো ফ্লাইটে ভয়াবহ টার্বুলেন্স: সাংসদ সাগরিকা ঘোষের ‘মৃত্যুসম’ অভিজ্ঞতা

ইন্ডিগো ফ্লাইটে ভয়াবহ টার্বুলেন্স: সাংসদ সাগরিকা ঘোষের ‘মৃত্যুসম’ অভিজ্ঞতা
সর্বশেষ আপডেট: 22-05-2025

দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল এমন একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটে ভয়াবহ টার্বুলেন্সের সম্মুখীন হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ছিলেন ওই ফ্লাইটে। সাগরিকা ঘোষ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন— "মৃত্যুর মতো অভিজ্ঞতা ছিল।" পাইলটের সুদক্ষতার জন্য নিরাপদে অবতরণ সম্ভব হয়েছে।

নয়া দিল্লি: দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল এমন একটি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে এমন এক মুহূর্ত এসেছিল যখন যাত্রীদের মনে হয়েছিল এটিই হয়তো তাঁদের জীবনের শেষ ভ্রমণ। উড়ানের সময় আচমকা আবহাওয়া পরিবর্তিত হয় এবং বিমানটি ভয়াবহ টার্বুলেন্সের (বাতাসের ঝাঁকুনি) শিকার হয়। বিমানে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) পাঁচজন সাংসদ ছিলেন, যাঁদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সাংবাদিক এবং রাজ্যসভা সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভয়াবহ উড়ানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, মনে হয়েছিল "মৃত্যু অত্যন্ত কাছে"।

শ্রীনগরে সফরে ছিল টিএমসি-র প্রতিনিধি দল

টিএমসি-র সাংসদদের এই পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং রাজৌরি পরিদর্শন করতে শ্রীনগর যাচ্ছিল। এই দলে ডেরেক ও’ব্রায়েন, নদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মানস ভুনিয়া এবং মমতা ঠাকুর ছিলেন। সকলেই ইন্ডিগোর দিল্লি-শ্রীনগর ফ্লাইটে ছিলেন। কিন্তু বিমানটি উত্তর ভারতের উপরের অঞ্চলে উড়তে শুরু করার সাথে সাথেই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে এবং ফ্লাইটটি প্রচণ্ড টার্বুলেন্সের সম্মুখীন হয়।

সাগরিকা ঘোষের অভিজ্ঞতা শেয়ার— ‘মৃত্যু ছিল সামনে’

সাংসদ সাগরিকা ঘোষ তার এক্স (পূর্ব টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে ফ্লাইটের সময় যা ঘটেছে, তা ছিল একটি সত্যিই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তিনি লিখেছেন:
"মনে হচ্ছিল আমার জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। লোকেরা চিৎকার করছিল, ঈশ্বরকে স্মরণ করছিল, প্রার্থনা করছিল। এত ভয় আমি আগে কখনো অনুভব করিনি।"

তিনি আরও জানান যে ফ্লাইট অবতরণ করার সময় বিমানের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফ্লাইটে প্রায় ২০০ জন যাত্রী ছিলেন, যারা সবাই নিরাপদে অবতরণ করেছেন, কিন্তু সেই ভয় ভুলে যাওয়া সম্ভবত কারো জন্যই সহজ হবে না।

পাইলটকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন— ‘আপনি আমাদের বাঁচিয়েছেন’

সাগরিকা ঘোষ ফ্লাইটের পাইলটের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে পাইলট যতটা পেশাদারিত্বের সাথে পরিস্থিতি সামলে নিরাপদে অবতরণ করেছেন এবং শ্রীনগর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ করেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি লিখেছেন— "পাইলটকে সালাম। তিনি আমাদের মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছেন।"

অবতরণের পর টিএমসি প্রতিনিধি দল ব্যক্তিগতভাবে পাইলট এবং ফ্লাইট ক্রুর ধন্যবাদ জানিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে বিমানের ভিডিও

এই পুরো ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্লাইটটি কেমনভাবে ঝাঁকুনি খাচ্ছে এবং যাত্রীরা কতটা ভয় পেয়েছেন। কেউ কেউ প্রার্থনা করছেন, আবার কেউ কেউ শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই ভিডিওই এই ঘটনার ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

২৩ মে পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে থাকবে টিএমসি প্রতিনিধি দল

টিএমসি প্রতিনিধি দলের সফর ২৩ মে পর্যন্ত চলবে। তারা জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় সেসব পরিবারের সাথে দেখা করবে যারা সীমান্ত অতিক্রম করে হামলায় তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে। দল জানিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য সেখানকার মানুষের সাথে ঐক্যবদ্ধতা প্রদর্শন করা এবং তাদের সমস্যাগুলি বুঝে নেওয়া।

```

Leave a comment