আইএমএফ পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে। ভারত আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে এই অর্থ সীমান্ত পারাপারী সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করা হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
ভারত-পাক উত্তেজনা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থ "এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি" (ইএফএফ) এবং "রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি" (আরএসএফ)-এর অধীনে প্রদান করা হয়েছে। আইএমএফ স্পষ্ট করে বলেছে যে এই সাহায্যের উদ্দেশ্য পাকিস্তানকে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
আইএমএফ-এর বক্তব্য, এই সাহায্য পাকিস্তানের জন্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭ মাসের কর্মসূচির অংশ। এই কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত পাকিস্তান মোট ২.১ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছে।
ভারতের আপত্তি: সন্ত্রাসবাদকে শক্তিশালী করা হতে পারে
ভারত আইএমএফ-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারত আইএমএফ-এর বোর্ড বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে পাকিস্তানকে প্রদত্ত আর্থিক সাহায্য সীমান্ত পারাপারী সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করতে ব্যবহার করা হতে পারে। ভারত বলেছে যে পাকিস্তানের অতীতের রেকর্ড খুবই খারাপ এবং এমন দেশকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বিশ্বব্যাপী মূল্যবোধের লঙ্ঘন।
ভারত আইএমএফ-এর বোর্ড বৈঠকে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিল এবং ভোটে অংশগ্রহণ করেনি। ভারতের আপত্তিগুলো আইএমএফ তাদের রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে, কিন্তু সাহায্য প্রদানের সিদ্ধান্তে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া: ভারতের সমালোচনা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই আর্থিক সাহায্যকে "সফলতা" বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে ভারতের আপত্তিগুলো ভিত্তিহীন। পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে যে আইএমএফ-এর এই সাহায্য দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
পাকিস্তান ভারতের উপরও অভিযোগ এনেছে যে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে একতরফা আগ্রাসী আচরণ করে দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চায়।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে
ভারতসহ অনেক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে পাকিস্তানে অর্থনৈতিক নীতির উপর সেনাবাহিনীর অত্যধিক প্রভাব রয়েছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনেও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলিকে দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদেশী সাহায্যের স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে না।