হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু-নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারে শীঘ্রই একটি শূন্য মন্ত্রী পদ পূরণ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
Himachal: মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের দুই বছরের কার্যকাল আগামী মাসে শেষ হতে চলেছে। এই মধ্যে মন্ত্রিসভায় একটি শূন্যপদ শীঘ্রই পূরণ হতে পারে। শিমলায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ওকওভারে পাঁচ মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর এই বিষয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, শূন্যপদটি কোন পুরুষ বিধায়ক পাবেন নাকি উপনির্বাচনে জয়ী দুই নারী বিধায়কের মধ্যে কেউ একজন।
সিএম নে মন্ত্রিসভা সহযোগীদের সাথে আলোচনা
মন্ত্রিসভায় একটি শূন্যপদ নিয়ে সচিবালয় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ওকওভার পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। সোমবার হামিরপুর ও বিলাসপুর জেলার সফরে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী সুখু মন্ত্রিসভার পাঁচ সহযোগীর সাথে বৈঠক করেন। প্রায় আধ ঘন্টা চলা বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছে শীঘ্রই শূন্যপদটি পূরণ হবে। এর সাথে সাথে, জনসাধারণের উদ্যোগে কংগ্রেসের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়োগও করা হবে।
মন্ত্রী পদ প্রার্থী
প্রদেশ সরকারের নিগম-বোর্ডে নিয়োগের সম্ভাবনা বয়ানাড় লোকসভা উপনির্বাচনের পর। বয়ানাড় আসন থেকে প্রিয়ংকা গান্ধী ভাদ্রা উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যার ফলে কংগ্রেসের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন। রাজনৈতিক সমীকরণ অনুযায়ী, মন্ত্রী পদের জন্য কাঙ্গড়া, মন্ডি অথবা কুল্লু জেলার কোন একজন কংগ্রেস বিধায়ককে সুযোগ মিলতে পারে।
সংজয় রতনের নাম আলোচনায়
কাঙ্গড়া জেলা থেকে দীর্ঘদিন ধরে সংজয় রতনের নাম মন্ত্রী বা মুখ্য সচেতক পদের জন্য আলোচনায় রয়েছে। যদি কোন নারী বিধায়ককে মন্ত্রী করা হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ও দেহরা থেকে উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ক কমলেশ ঠাকুরের নাম উঠে আসতে পারে। কমলেশ নারী হওয়ার সাথে সাথে কাঙ্গড়া জেলার অন্যতম প্রধান বিধায়কও।
হর্ষবর্ধন এর বাসভবনে মন্ত্রী বর্গের বৈঠক
সংসদীয় কার্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চৌহানের খালিনীস্থিত ব্যক্তিগত বাসভবন সারাদিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্র কুমার, জগৎ সিং নেগী ও রোহিত ঠাকুর সকাল ১১ টার আগেই হর্ষের বাড়িতে পৌঁছে যান। চা পানের পর, পাঁচজন মন্ত্রী হর্ষবর্ধন চৌহানের গাড়িতে করে মুখ্যমন্ত্রী সুখুর সাথে দেখা করতে ওকওভার যান। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এক ঘন্টারও বেশি সময় বৈঠক হয়।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী সুখু হামিরপুরের দিকে যাত্রা করেন এবং পাঁচজন মন্ত্রী আবার হর্ষের বাড়িতে ফিরে আসেন, যেখানে তারা একসাথে ভোজন করেন। দুপুরের পর সকলে নিজ নিজ কার্যালয়ে সচিবালয়ে যান। রাজস্বমন্ত্রী জগৎ সিং নেগী জানান, মন্ত্রীরা কেবলমাত্র খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী, প্রফেসর চন্দ্র কুমার, হর্ষবর্ধন চৌহান, জগৎ সিং নেগী ও রোহিত ঠাকুর দীপাবলীর পর প্রথমবার শিমলায় এসেছিলেন। এভাবে সবাই একসাথে একই গাড়িতে করে মুখ্যমন্ত্রী সুখুর সাথে দেখা করতে ওকওভার যান, যেখানে তাদের দীপাবলির মিষ্টান্নও দেওয়া হয়।