২০২৫ সালের এপ্রিলে সরকার জিএসটি থেকে ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা কর আদায় করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১২.৬% বেশি। এছাড়াও, এবার রিফান্ড ২৭ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
জিএসটি সংগ্রহ: ২০২৫ সালের এপ্রিলে সরকার জিএসটি থেকে ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা কর সংগ্রহ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১২.৬% বেশি। এ বছরের জিএসটি সংগ্রহকে রেকর্ড-ব্রেকিং বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছরের এপ্রিলে সরকার ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা কর সংগ্রহ করেছিল, যখন এবার এই সংখ্যা বেড়ে ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা অর্থনীতির সুস্থতার ইঙ্গিত বহন করে।
রিফান্ড এবং নেট সংগ্রহ
এবার মোট রিফান্ড ২৭,৩৪১ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত বছরের ১৮,৪৩৪ কোটি টাকার তুলনায় ৪৮.৩% বেশি। রিফান্ডের পর, ২০২৫ সালের এপ্রিলে নেট জিএসটি সংগ্রহ ২,০৯,৩৭৬ কোটি টাকা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
এর অর্থ হল সরকারের মোট কর সংগ্রহ প্রতি বছর উন্নত হচ্ছে এবং এই বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দেয়।
কর সংগ্রহে কী কী অন্তর্ভুক্ত?
সরকারের কর সংগ্রহে CGST (Central Goods and Services Tax), SGST (State Goods and Services Tax), IGST (Integrated Goods and Services Tax), এবং CESS (Special Taxes) সব অন্তর্ভুক্ত। সরকার এই করগুলি সংগ্রহ করার পর কোনও কোম্পানি বা ব্যক্তিকেও রিফান্ড প্রদান করে, যারা পরোক্ষ কর প্রদানের যোগ্য।
রাজ্য অনুযায়ী কর সংগ্রহ
সাধারণত, মহারাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি কর সংগ্রহকারী রাজ্য। ২০২৫ সালের এপ্রিলে মহারাষ্ট্র থেকে ৪১,৬৪৫ কোটি টাকা কর সংগ্রহ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১১% বেশি। এরপর উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৩,৬০০ কোটি টাকা, বিহার থেকে ২,২৯০ কোটি টাকা এবং নতুন দিল্লি থেকে ৮,২৬০ কোটি টাকা কর সংগ্রহ করা হয়েছে। হরিয়ানা এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিও কর সংগ্রহে তাদের অবদান বৃদ্ধি করেছে।
মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি
মহারাষ্ট্রের পর কর্ণাটক রাজ্য সবচেয়ে বেশি কর সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য সরকারগুলি তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য জিএসটি-র অনুসরণ এবং কর সংগ্রহের ব্যবস্থার উপর ক্রমাগত নজর রাখছে।
এর অর্থ কী?
এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে এবং জিএসটি সংগ্রহের বৃদ্ধি দেশে বাণিজ্য ও ব্যবসার পরিবেশের উন্নতির প্রমাণ দেয়। সরকারের জন্য এটি একটি সাফল্যের ইঙ্গিত এবং এর ফলে সরকারি কোষাগারে অতিরিক্ত মূলধনের আগমন ঘটেছে, যা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।