ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের মাঝখানে ইংলিশ দলকে আরেকটি বড় ধাক্কা লেগেছে। তিন ম্যাচের এই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ১ জুন কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু তার আগেই ইংল্যান্ড তাদের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোটের কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।
খেলাধুলার খবর: ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের দুশ্চিন্তা থামার নাম নিচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের মাঝখানে ইংল্যান্ডের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জেমি ওভারটন চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। এর আগে গাস অ্যাটকিনসন এবং জোফরা আর্চারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্রুতগতির বোলারও চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন।
ওভারটনের চোট কেবলমাত্র ইংল্যান্ডের বর্তমান ওয়ানডে পরিকল্পনাকেই প্রভাবিত করেনি, বরং বছরের শেষের দিকে ভারতের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিগুলিকেও গভীর ধাক্কা দিয়েছে। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট সিরিজের জন্য ইংল্যান্ড তাদের বোলিং ইউনিট নিয়ে ইতোমধ্যেই সতর্ক ছিল, কিন্তু এখন চোটের দীর্ঘ তালিকা দলের ব্যবস্থাপনার উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।
প্রথম ওয়ানডেতে চোট, আঙুলে ফ্র্যাকচার
জেমি ওভারটন এজবাস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে এই চোট পান, যখন একটি ক্যাচ ধরার চেষ্টা করার সময় তার ডান হাতের ছোট আঙুলে ফ্র্যাকচার হয়। এর পর থেকে তাকে চিকিৎসা দলের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে এবং তাকে সম্পূর্ণ ওয়ানডে এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, সারে এবং ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার জেমি ওভারটনের ডান হাতের ছোট আঙুলে ফ্র্যাকচার হয়েছে। এখন সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলমান মেট্রো ব্যাংক ওয়ানডে এবং আসন্ন T20I সিরিজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তার সুস্থতা ইংল্যান্ডের চিকিৎসা দলের তত্ত্বাবধানে হবে।
পরিবর্তন ছাড়াই সিরিজ অব্যাহত থাকবে
ECB স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ওভারটনের পরিবর্তে দলে কোনো নতুন খেলোয়াড় যোগ করা হবে না। দলের ব্যবস্থাপনা বর্তমান খেলোয়াড়দের ক্ষমতার উপর আস্থা প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, প্লেইং ইলেভেনে ওভারটনের পরিবর্তে দ্রুতগতির বোলার ম্যাথিউ পটসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যিনি এই ম্যাচের মাধ্যমে তার দশম ওয়ানডে খেলবেন।
উল্লেখ্য যে ইংল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি ২৩৮ রানের ব্যাপক ব্যবধানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। যদি তারা দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে নেয়, তাহলে সিরিজ তাদের নামে হয়ে যাবে। কিন্তু ওয়ানডেতে এই এগিয়ে যাওয়ার মাঝে টেস্ট ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিয়ে মেঘমালা ইংল্যান্ডকে উদ্বেগে ফেলে দিচ্ছে।
জোফরা আর্চার, যার ফিরে আসার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আশা করা হচ্ছিল, আবারও চোট পেয়েছেন। অন্যদিকে গাস অ্যাটকিনসনের অনুপস্থিতি দ্রুতগতির বোলিং লাইনআপকে ইতোমধ্যেই দুর্বল করে দিয়েছে। এখন ওভারটনের বাদ পড়ার ফলে টেস্ট দলের গভীরতার উপর প্রশ্ন উঠছে। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিদেশি মাটিতে টেস্টে চমৎকার পারফর্ম করেছে, ইংল্যান্ডকে পুরো শক্তি নিয়ে নামতে হবে।
