২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গায় कथিত ভূমিকা নিয়ে দিল্লির আইনমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। রাউজ এভিনিউ কোর্ট কপিল মিশ্রার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে।
দিল্লি দাঙ্গা মামলা: দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০২০ সালে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় कथিত ভূমিকা নিয়ে বিজেপি নেতা এবং দিল্লি সরকারের আইনমন্ত্রী কপিল মিশ্রার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাউজ এভিনিউ কোর্ট কপিল মিশ্রার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। কোর্ট দিল্লি পুলিশের দেওয়া তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে কপিল মিশ্রা কর্দম পুরী এলাকায় উপস্থিত ছিলেন এবং এই ঘটনাটি দণ্ডনীয় অপরাধের আওতাভুক্ত।
কোর্টের নির্দেশ: আরও তদন্তের প্রয়োজন
রাউজ এভিনিউ কোর্ট বলেছে কপিল মিশ্রার ভূমিকার তদন্ত করা উচিত এবং প্রথম দৃষ্টিতে এটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে মনে হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের দেওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই নির্দেশ জারি করেছে। আদালত এই মামলায় আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছে এবং এর ফলে কপিল মিশ্রার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পথ পরিষ্কার হয়েছে।
পুলিশের দাবি: মিশ্রাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র
মামলার শুনানির সময় পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে কপিল মিশ্রাকে ফাঁসানোর জন্য একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। বিশেষ জনসাধারণের অ্যাডভোকেট অমিত প্রসাদ যুক্তি দিয়েছেন দাঙ্গার পিছনে কপিল মিশ্রার ভূমিকা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ডিপিএসজি (দিল্লি প্রোটেস্ট সাপোর্ট) গ্রুপের চ্যাট থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে চাক্কা জামের পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল এবং তাতে মিশ্রার নাম উঠে এসেছে।
এই মামলায় যমুনা বিহারের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস কপিল মিশ্রা, প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক জগদীশ প্রধান, বিজেপি বিধায়ক মোহন সিং বিষ্ট এবং অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি জানিয়েছিলেন। ইলিয়াসের মতে, এই নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
কী হবে কপিল মিশ্রার ভবিষ্যৎ?
কপিল মিশ্রার বিরুদ্ধে আদালতের এই নির্দেশ নতুন সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে, যা তাঁর রাজনৈতিক ও আইনগত ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করতে পারে। এখন পুলিশকে এই মামলার গভীর তদন্ত করতে হবে এবং দেখতে হবে এই তদন্তের পর মিশ্রার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হবে কি না। এই মামলার গভীর তদন্ত করা হবে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে।