মহারাষ্ট্র সরকারে এনসিপি নেতা ছগন ভুজবলকে পুনরায় মন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেছেন এবং ধনঞ্জয় মুণ্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ক্যাবিনেটে। ভুজবল ওবিসি সম্প্রদায়ের একজন বড় নেতা হিসেবে পরিচিত।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রের রাজনীতির একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব এবং রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা ছগন ভুজবল পুনরায় মহারাষ্ট্র সরকারে মন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন। সোমবার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় তিনি রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস, উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার উপস্থিত ছিলেন। ধনঞ্জয় মুণ্ডের স্থলে ভুজবলকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে স্বাস্থ্যগত কারণে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
ওবিসি সমাজকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা
ছগন ভুজবল মহারাষ্ট্রে ওবিসি (অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী) সমাজের অন্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী নেতা। মন্ত্রিসভায় তার পুনরায় যোগদানকে এই শ্রেণীকে আবারও সাথে জুড়ে রাখার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যখন মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হয়েছিল, তখন ভুজবলকে মন্ত্রী পদ দেওয়া হয়নি, যার প্রতিবাদে তিনি স্পষ্টভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন যে ফড়নবিস তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তারপরেও তিনি স্থান পাননি।
ছগন ভুজবল কী বলেছেন?
মন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর ছগন ভুজবল তার অতীত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে বলেছেন, “আমি গৃহ মন্ত্রণালয় সহ অনেক বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছি। যে দায়িত্বই দেওয়া হবে, তা যথাযথভাবে পালন করব। যেমন বলা হয়, ‘শেষ ভালো হলে সব ভালো।’”
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ক্যাবিনেটে কে কে থাকবে, তা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষাধিকার এবং তিনি সেই সিদ্ধান্তের সম্মান করেন।
ধনঞ্জয় মুণ্ডের স্থলে দায়িত্ব পেয়েছেন
ছগন ভুজবল এনসিপিরই ধনঞ্জয় মুণ্ডের স্থলে এই পদ পেয়েছেন। মুণ্ডে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে, বিডে এক মহিলা সরপঞ্চের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নাম জড়িয়ে পড়েছিল, যখন তার সহযোগী বাল্মীকি করাদ-এর নাম ওই মামলায় যুক্ত হয়। এর পর থেকেই তাঁর উপর মন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে।
শিন্ডে এবং ফড়নবিস শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
ছগন ভুজবলের পুনরায় যোগদানের উপর উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, “ভুজবল আগেও অনেকবার মন্ত্রী ছিলেন এবং বিভিন্ন বিভাগ দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেছেন। তার অভিজ্ঞতা রাজ্য সরকারের জন্য খুবই সহায়ক হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের উপস্থিতিতে ভুজবলের পুনরায় যোগদান এ ইঙ্গিত দিয়েছে যে এনসিপি এবং বিজেপির সম্পর্ক বর্তমানে মজবুত রয়েছে।
নাশিকের বিধায়ক ভুজবল
৭৭ বছর বয়সী ছগন ভুজবল নাশিক জেলার ইয়েওলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। তিনি মহারাষ্ট্রের সেই সীমিত সংখ্যক নেতাদের একজন যাঁদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা দশকের পর দশক জুড়ে বিস্তৃত। চাই গৃহ মন্ত্রণালয় হোক বা খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ, তিনি প্রতিটি দায়িত্ব পুরোদমে পালন করেছেন।
ভুজবলের অসন্তোষ আলোচনার বিষয় হয়েছিল
যখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে ভুজবলকে উপেক্ষা করা হয়েছিল, তখন এই বিষয়টি কেবলমাত্র দলের ভেতরেই নয়, জনসাধারণ ও রাজনৈতিক আলোচনায়ও উঠে এসেছিল।
