ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই, নয়ডায় রোগী শনাক্ত। অক্সিজেন সিলিন্ডার, বিছানার প্রস্তুতি ত্বরান্বিত। JN.1 ভ্যারিয়েন্টের আশঙ্কা। সরকার সতর্ক, ভয়ের কিছু নেই।
Covid: দেশে আবারও কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লীর পার্শ্ববর্তী নয়ডা ও গাজিয়াাবাদ, মুম্বই, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও গুজরাট-সহ বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিল্লিতে তিন বছর পর মে মাসে প্রথমবারের মতো ২৩টি নতুন কেস ধরা পড়েছে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র, কেরল ও কর্ণাটকেও আবার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
নয়ডায় প্রথম কেস, দিল্লিতে প্রশাসন সতর্ক
শনিবার নয়ডায় করোনার প্রত্যাবর্তনের প্রথম ঘটনা सामने এসেছে, যেখানে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়াও গাজিয়াাবাদেও চারটি কেস নিশ্চিত হয়েছে। দিল্লিতে ২৩টি নতুন কেস ধরা পড়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালগুলিকে অক্সিজেন সিলিন্ডার, কোভিড টেস্টিং কিট, বিছানা এবং টিকার পর্যাপ্ত স্টক রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
JN.1 ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ, কিন্তু লক্ষণ হালকা
এই বার সংক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে ওমিক্রনের উপ-ভ্যারিয়েন্ট JN.1 কে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টটি অত্যন্ত সংক্রামক, কিন্তু ভয়ের কিছু নেই কারণ এর লক্ষণ সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। সংক্রমিতদের মধ্যে জ্বর, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। রোগীরা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সুস্থ হচ্ছেন এবং এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
কেরলে সর্বাধিক ২৭৩ সংক্রমিত, মাস্ক বাধ্যতামূলক
মে মাসে কেরলে সর্বাধিক ২৭৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। রাজ্য সরকার সকল জেলায় তত্ত্বাবধান জোরদার করেছে এবং হাসপাতালে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। কাশি বা সর্দির লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র ও মুম্বইতে সংখ্যা বৃদ্ধি
মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে মে মাসে এ পর্যন্ত ৯৫টি নতুন কেস ধরা পড়েছে, যা রাজ্যে সর্বাধিক। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, হাসপাতালে ভর্তির হার খুবই কম, মাত্র ১৬ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুম্বই মহানগরপালিকা (BMC) SARI (গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত রোগ) লক্ষণযুক্ত সকল রোগীর কোভিড পরীক্ষা করার নির্দেশ জারি করেছে।
কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশও সতর্ক
কর্ণাটকে ৩৫টি নতুন কেস ধরা পড়েছে, যার মধ্যে ৯ মাসের এক শিশুও রয়েছে। রাজ্য সরকার গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত রোগের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে সংক্রমণের ঘটনা বেশি বৃদ্ধি পায়নি, তবে সরকার টিকা, পিপিই কিট এবং মাস্কের সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
গুজরাট: আহমেদাবাদে একদিনে ২০ কেস
গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে একদিনেই ২০টি কোভিড কেস ধরা পড়েছে। নগর নিগমের মতে, মে মাসে এ পর্যন্ত মোট ৩৯ জন রোগীর সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। শহরের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে সর্বাধিক ১০টি কেস পাওয়া গেছে।
