জরুরি বৈঠক: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের জরুরি অধিবেশন

জরুরি বৈঠক: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের জরুরি অধিবেশন
সর্বশেষ আপডেট: 04-05-2025

বাংলাদেশে বর্ধিত উত্তেজনার মধ্যে রাষ্ট্রপতি ৫ই মে জাতীয় সংসদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে ভারতের সাথে বর্ধিত উত্তেজনার এবং নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।

পাকিস্তান নিউজ: পাহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের আশঙ্কায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ৫ই মে, ২০২৫ জাতীয় সংসদের জরুরি বৈঠক (Emergency National Assembly Session) ডেকেছেন। এই বৈঠক ইসলামাবাদে অবস্থিত সংসদ ভবনে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পাকিস্তান সরকার এবং বিরোধী দলের প্রধান নেতারা উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বৈঠক পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৪(১) অনুচ্ছেদের অধীনে ডাকা হয়েছে।

ইমরান খানের দল PTI সরকারের সাথে কী করবে?

বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে ইমরান খানের দল PTI এবং তাদের সমর্থকরা এই বৈঠকে কোন পক্ষকে সমর্থন দেবে। কিছুদিন আগে জেলে বন্দি ইমরান খান বলেছিলেন যে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে সরকারের সমর্থন করবেন।

এই বৈঠক এই দিক নির্ধারণ করবে যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কীভাবে এই গুরুতর সংকটের মোকাবেলা করবে। এর আগে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ইমরান খানের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে তাঁর জেনারেলদের জেলে পাঠিয়েছিলেন, যা নিরাপত্তা বিষয়ে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।

ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার উপর পাকিস্তানে হতে পারে গুরুতর আলোচনা

এই বৈঠক ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধিত উত্তেজনার বিষয়ে গুরুতর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। পাকিস্তানে এখন ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি উঠছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতৃত্বকে এ বিষয়ে কৌশল তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে ভারতের সাথে সীমান্তে বর্ধিত উত্তেজনাকে কমাতে পারে। বৈঠকে সামরিক প্রস্তুতি, কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ভারতের কঠোর অবস্থান, পাকিস্তানে আন্দোলন

পাহলগাম হামলার পর ভারত কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করা এবং পাকিস্তানের সাথে সব রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। এছাড়াও, ভারত পাকিস্তানের সাথে যুক্ত নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানে আতঙ্ক এবং আন্দোলন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ক্রমাগত তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সাথে ব্যস্ত, যা স্পষ্ট করে যে পাকিস্তান চাপের মধ্যে রয়েছে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও বলেছিলেন যে যদি ভারত সিন্ধু জল বন্ধ করে দেয়, তাহলে পাকিস্তানে রক্তের নদী বইয়ে যাবে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও ক্রমাগত তাঁর সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠক করেছেন, যা স্পষ্ট করে যে পাকিস্তান ভারতের যেকোনো প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

 

Leave a comment