অতুল সুভাষ আত্মহত্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত নিকিতা, নিশা এবং অনুরাগ জামিনের আবেদন করেছেন। নিকিতা আদালতে অতুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, অতুল তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল, তার ওপর হামলা করেছিল এবং তাকে হুমকি দিয়েছিল।
অতুল সুভাষ কেস: এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত চলছে। এই মামলায় অভিযুক্ত নিকিতা সিংহানিয়া, নিশা এবং অনুরাগের বিচার বিভাগীয় হেফাজত ৩০শে ডিসেম্বর শেষ হবে। এই অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করেছেন, যার শুনানি শীঘ্রই হবে। এরই মধ্যে, এই মামলার সাথে সম্পর্কিত অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
জৌনপুর আদালতের পুরোনো নথি সামনে এসেছে
অতুল সুভাষ এবং নিকিতা সিংহানিয়ার মধ্যে বিবাদ এখন আদালতে পৌঁছেছে। জৌনপুর আদালতের একটি পুরোনো নথি সামনে এসেছে, যেখানে নিকিতা অতুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এই নথি অনুযায়ী, নিকিতা আদালতে তার বক্তব্য পেশ করেছেন এবং অতুলের করা অভিযোগ খণ্ডন করেছেন।
নিকিতা অতুলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
অতুল অভিযোগ করেছিলেন যে, নিকিতা নিজের ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং শীঘ্রই ফিরে আসবেন বলেছিলেন। অতুল দাবি করেছিলেন যে, জৌনপুরে যাওয়ার পর নিকিতার আচরণে পরিবর্তন আসে এবং তিনি তার বিরুদ্ধে একের পর এক নয়টি মামলা দায়ের করেন। তবে, আদালতে নিজের সমর্থনে নিকিতা বলেন, "আমি বাড়ি ছাড়িনি; বরং, অতুল আমাকে বের করে দিয়েছিল। তিনি আমাকে মে ২০২১-এ বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং পরে সেপ্টেম্বর ২০২১-এ, আমি বেঙ্গালুরু যাই, সম্ভবত অতুল তার ভুল বুঝতে পারবে এই আশায়। কিন্তু এবারও তিনি আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি এবং আমাকে আবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে হয়েছিল।"
হামলা ও হুমকির প্রকাশ
নিজের সমর্থনে নিকিতা আরও বলেন যে, ১৭ই মে, ২০২১ তারিখে অতুল তার মায়ের সামনে তাকে শারীরিকভাবে মারধর করেন। "এই সময়, অতুল আমাকে লাথি ও ঘুষি মারে এবং আমাকে ও আমার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সে আমার সমস্ত গয়না, কাপড় এবং গুরুত্বপূর্ণ এফডি কাগজপত্রও আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়। এরপর, সে আমাকে হুমকি দেয় যে যদি আমি ১০ লাখ টাকা না আনি, তাহলে সে আমাকে মেরে ফেলবে এবং আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেবে না।"
অতুল সুভাষের আত্মহত্যার কারণ
বিহারের সমষ্টিপুরের বাসিন্দা অতুল সুভাষ ৯ই ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর তার ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে, অতুল ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট এবং দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। এই নোট এবং ভিডিওতে অতুল নিকিতা এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ করেন। অতুলের আত্মহত্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত বর্তমানে চলছে, যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করা হচ্ছে।
```