দিল্লির MCD-তে ১৫ জন ‘আম আদমি’ পার্ষদ আলাদা হলেন। মুকেশ গোয়েল নতুন দল ‘ইন্দ্রপ্রস্থ উন্নয়ন পার্টি’ গঠন করলেন। এর ফলে দিল্লির রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত।
দিল্লি সংবাদ: দিল্লির রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে। ‘আম আদমি পার্টি’ (AAP)-র বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা দিল্লি পৌর নিগম (MCD)-তে আলাদা গোষ্ঠী গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই নতুন গোষ্ঠীর নাম ‘ইন্দ্রপ্রস্থ উন্নয়ন পার্টি’ রাখা হয়েছে, যার নেতৃত্ব দেবেন মুকেশ গোয়েল। এই পদক্ষেপকে দিল্লির রাজনীতিতে বড় ধরনের আন্দোলন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ‘আম আদমি পার্টি’র জন্য চ্যালেঞ্জও হতে পারে।
MCD নির্বাচনে BJP-র জয় এবং AAP-র বর্জন
গত মাসে দিল্লি পৌর নিগম (MCD)-এর মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে BJP-র পার্ষদ রাজা ইকবাল সিং জয়ী হন। তিনি মোট ১৩৩ ভোট পেয়েছিলেন, অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী মনদীপ মাত্র ৮ ভোট পেয়েছিলেন। বিশেষত, ‘আম আদমি পার্টি’ এই মেয়র নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং তাদের কোনও প্রার্থীও দাঁড় করায়নি। এর পর থেকে দলে অসন্তোষের খবর আসতে শুরু করে, যার ফলে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মুকেশ গোয়েলের নেতৃত্বে নতুন দলের গঠন
‘আম আদমি পার্টি’র প্রবীণ নেতা এবং MCD-র প্রাক্তন সদননেতা মুকেশ গোয়েল এখন নিজের পৃথক পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এবং তার সমর্থকরা ‘ইন্দ্রপ্রস্থ উন্নয়ন পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করেছেন। মুকেশ গোয়েলের মতে, এই নতুন গোষ্ঠীর সাথে এখন ১৫ জন পার্ষদ যুক্ত হয়েছেন যারা এই দলের অংশ হবেন।
মুকেশ গোয়েল এবং তার কিছু সহযোগী আগে কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু পরে তারা ‘আম আদমি পার্টি’তে যোগদান করেন। মুকেশ গোয়েল বিধানসভা নির্বাচনে আদর্শ নগর আসন থেকে AAP-র প্রার্থীও ছিলেন। এখন তার এই পদক্ষেপ দিল্লির রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।
নতুন দল থেকে দিল্লির রাজনীতিতে পরিবর্তনের আশা
‘ইন্দ্রপ্রস্থ উন্নয়ন পার্টি’ গঠনের ফলে দিল্লি পৌর নিগমের রাজনীতিতে নতুন রঙ দেখা যাবে। এই গোষ্ঠী ‘আম আদমি পার্টি’র আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন দলের আগমনে MCD-তে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তন হতে পারে এবং আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব দেখা যেতে পারে।
‘আম আদমি পার্টি’র অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ কৌশল
এখনও পর্যন্ত ‘আম আদমি পার্টি’র পক্ষ থেকে এই বিভাজনের উপর কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে যে এই বিদ্রোহে দলের নেতৃত্ব বেশ চিন্তিত এবং বিষয়টি সমাধান করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেখার বিষয় হলো দল এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা কীভাবে করে।
