যদি আপনি স্মার্টফোন দিয়েও DSLR-এর মতো ফোটোগ্রাফির আনন্দ উপভোগ করতে চান, তাহলে বাজারে অনেক ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস পাওয়া যায়। Apple, Samsung, Vivo এবং Oppo-র মতো কোম্পানিগুলো তাদের হাই-এন্ড স্মার্টফোনে অ্যাডভান্সড ক্যামেরা সেটআপ এবং পাওয়ারফুল লেন্স অফার করছে। এর মধ্যে কিছু ডিভাইসে 200MP পর্যন্ত ক্যামেরা এবং AI-ভিত্তিক প্রসেসিং দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ছবি অসাধারণ সুন্দর হয়। যদি আপনিও একটি চমৎকার ক্যামেরা ফোনের সন্ধানে থাকেন, তাহলে এই শীর্ষ মডেলগুলোতে একবার নজর দিতে পারেন।
iPhone 16 Pro Max: Apple-এর পাওয়ারফুল ক্যামেরা সেটআপ
Apple-এর iPhones ক্যামেরার মানের জন্য সবসময় আলোচনায় থাকে। iPhone 16 Pro Max-এও দুর্দান্ত ক্যামেরা সেটআপ দেওয়া হয়েছে। এতে 48MP-র ওয়াইড লেন্স, 12MP-র পেরিস্কোপ টেলিফোটো এবং 48MP-র আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স রয়েছে। এই ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপের সাথে ডুয়াল LED ডুয়াল টোন ফ্ল্যাশও দেওয়া হয়েছে। iPhone 16 Pro Max 120fps পর্যন্ত 4K ভিডিও রেকর্ডিং-কে সমর্থন করে। অন্যদিকে, সেলফি এবং ভিডিও কলিংয়ের জন্য এতে 12MP-র ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
Vivo X200 Pro: 200MP ZEISS টেলিফোটো ক্যামেরা
Vivo X200 Pro তার পাওয়ারফুল ক্যামেরা সেটআপের জন্য আলোচনায় রয়েছে। এতে ভারতের প্রথম 200MP ZEISS APO টেলিফোটো ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। ফোনের পিছনে 50MP+50MP+200MP-র ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে। এই ডিভাইসটি স্ন্যাপশট, ল্যান্ডস্কেপ, পোর্ট্রেট ফোটো, স্লো মোশন এবং প্রো মোডের মতো অনেক ফিচার নিয়ে আসে। অন্যদিকে, ফ্রন্ট ক্যামেরার কথা বললে এতে 32MP-র সেলফি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যা চমৎকার ছবি তোলে।
Samsung Galaxy S25 Ultra: AI-ভিত্তিক ক্যামেরা মান
Samsung-এর এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে AI-ভিত্তিক ক্যামেরার মান পাওয়া যায়। এতে 50MP আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স, 200MP-র ওয়াইড লেন্স এবং 50MP+10MP-র দুটি টেলিফোটো লেন্স দেওয়া হয়েছে। এই ফোনে AI-চালিত প্রো ভিজুয়াল ইঞ্জিন রয়েছে, যা কম আলোতে ফোটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফিকে অসাধারণ করে তোলে। অন্যদিকে, সেলফির জন্য 12MP-র ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। Samsung Galaxy S25 Ultra ফোটোগ্রাফির শখের মানুষদের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প।
Oppo Find X8 Pro: কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ
Oppo Find X8 Proও চমৎকার ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে আসে। এতে 50MP-র আল্ট্রা ওয়াইড, 50MP-র ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, 50MP-র টেলিফোটো এবং 50MP-রই আল্ট্রা টেলিফোটো লেন্স দেওয়া হয়েছে। এই ফোনটি অটো ফোকাস এবং 2-অ্যাক্সিস অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন (OIS) সমর্থনের সাথে আসে। অন্যদিকে, সেলফির জন্য এর সামনে 32MP-র ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যা উচ্চ-রেজোলিউশন ইমেজ ক্যাপচার করতে সক্ষম।
যদি আপনিও DSLR-এর মতো ফোটোগ্রাফির আনন্দ উপভোগ করতে চান, তাহলে এই স্মার্টফোনগুলো চমৎকার বিকল্প হতে পারে। এই সকল মডেলে হাই-এন্ড ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে, যা আপনার ফোটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফিকে অসাধারণ করে তুলতে পারে।