চীনা ছাত্রের ৩ডি প্রিন্টে তৈরি ফোল্ডেবল স্মার্টফোন: সাড়া জাগিয়ে তুলেছে

🎧 Listen in Audio
0:00

চীনে একজন স্কুলছাত্র এমন এক অসাধারণ কাজ করে দেখিয়েছেন যা জেনে সকলেই অবাক হয়েছেন। হুবেই প্রদেশের ইচাংয়ের ইলিং হাই স্কুলে পড়ুয়া ল্যান বোউইন নিজের বাড়িতেই একটি ফোল্ডেবল স্মার্টফোন তৈরি করেছেন। বিশেষত্ব হল, এই ফোনটি তিনি ৩ডি প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করেছেন। তার এই উদ্ভাবনের সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এবং মানুষ তার প্রতিভার প্রশংসা করছে।

বাজারে এমন ফোল্ডেবল ফোন ছিল না, নিজেই বানিয়ে ফেললেন

বোউইন জানিয়েছেন যে বাজারে বিভিন্ন ধরণের ভার্টিক্যাল ও হরাইজন্টাল ফোল্ডেবল ফোন পাওয়া যায়, কিন্তু এমন কোনও ফোন ছিল না যা ফোল্ড করলে স্ক্রিন বাইরে দিকে দেখা যায়। এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য তিনি নতুন একটি ভার্টিক্যাল ফোল্ডেবল ফোন তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এই প্রজেক্টের জন্য বোউইন প্রায় ২৪,০০০ টাকা মূল্যের একটি ৩ডি প্রিন্টার ব্যবহার করেছেন এবং তার ফ্রেম তৈরি করেছেন। এরপর, ফোনের অন্যান্য উপাদানগুলি তিনি পুরানো মোবাইল ফোন থেকে সংগ্রহ করেছেন এবং কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ অনলাইনে অর্ডার করেছেন।

বোউইন তার প্রথম ভিডিওটি ১৬ ফেব্রুয়ারি চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৬ মিমি মোটা একটি ফোল্ডেবল ফোন তৈরি করার দৃশ্য দেখিয়েছেন। এর পর থেকেই তার এই উদ্ভাবন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

টাচস্ক্রিন কার্যকরী করতে সমস্যায় পড়েছিলেন

বোউইনের মতে, তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টাচস্ক্রিন কার্যকরী করা। প্রথমদিকে যখন ফোনটি আনফোল্ড করা হত, তখন টাচস্ক্রিন কাজ করত না। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য তিনি বারবার ফোনের ডিজাইন পরিবর্তন করেছেন এবং ক্রমাগত পরীক্ষা করেছেন। বোউইন জানিয়েছেন যে এই সময়ে বারবার স্ক্রিন নষ্ট হয়েছে, কিন্তু অবশেষে তিনি এটিকে একটি সাধারণ স্মার্টফোনের সমস্ত ফাংশনের সাথে তৈরি করেছেন। তবে, তার মডেলটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এতে আরও অনেক উন্নতি করা প্রয়োজন।

Vivoও মুগ্ধ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার বন্যা

বোউইনের এই উদ্ভাবনী কাজের চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা হচ্ছে। এমনকি চীনের জনপ্রিয় স্মার্টফোন কোম্পানি Vivoও তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। Vivo তার ভিডিওতে মন্তব্য করে লিখেছে, "এটি অসাধারণ কাজ! আমরা আশা করি আপনি ভবিষ্যতেও এ ধরণের উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরি করবেন।"

বোউইনের এই সৃজনশীলতা দেখায় যে আজকের তরুণরা নতুন প্রযুক্তি এবং তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার মাধ্যমে অসাধারণ কাজ করতে পারে। এখন দেখার বিষয় হল বোউইন তার এই উদ্ভাবনকে আর কতটা এগিয়ে নিয়ে যায় এবং ভবিষ্যতে কোনও বড় স্মার্টফোন কোম্পানি কি তার এই আইডিয়াটি গ্রহণ করে।

Leave a comment