মেটার বিপ্লবী ব্রেন-টাইপিং AI: মস্তিষ্কের চিন্তা দিয়ে টাইপিং

🎧 Listen in Audio
0:00

মেটার ব্রেন-টাইপিং AI একটি নতুন বিপ্লবী প্রযুক্তি, যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়ে টাইপিং সম্ভব করে তোলে।

ব্রেন-টাইপিং AI: মেটার ব্রেন-টাইপিং AI একটি নতুন বিপ্লবী প্রযুক্তি, যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়ে টাইপিং সম্ভব করে তোলে। তবে, এটি এখনও সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ নয়, কিন্তু ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে দিতে পারে।

মেটার অনন্য ব্রেন-টাইপিং AI কি?

বিশ্ব দ্রুত ডিজিটাল হয়ে উঠছে এবং এখন একটি নতুন প্রযুক্তি এসেছে যা মস্তিষ্ক পড়ে টাইপিং করতে পারে। এই ধারণাটি প্রথম ২০০৭ সালে মেটা (তখন ফেসবুক) প্রস্তাব করেছিল। কোম্পানিটি একটি ব্রেন-রিডিং সিস্টেমের প্রস্তাব দিয়েছিল, যার মাধ্যমে হাত ব্যবহার না করে শুধুমাত্র চিন্তা করে টাইপিং করা সম্ভব হবে। বহু বছরের গবেষণার পর, এখন এই দিকে একটি বড় সাফল্য এসেছে।

কীভাবে কাজ করে মেটার ব্রেন-টাইপিং AI?

মেটার এই প্রযুক্তিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং নিউরোসায়েন্সের সমন্বয়ে কাজ করে। এটি ব্যক্তির মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে অনুমান করে যে সে কোন অক্ষর টাইপ করতে চায়। এই প্রযুক্তির জন্য ম্যাগনেটোএনসেফালোগ্রাফি (MEG) মেশিন ব্যবহার করা হয়, যা মস্তিষ্ক থেকে আসা চৌম্বকীয় সংকেত পড়ে তাদের ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করে।

প্রযুক্তিতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে

যদিও এই প্রযুক্তি অত্যন্ত প্রভাবশালী, তবে বর্তমানে এটি সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ করা সম্ভব নয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল MEG মেশিনের বড় আকার এবং এর অত্যধিক ব্যয়। এই মেশিনটি প্রায় আধা টন ওজনের এবং এর দাম প্রায় ১৬ কোটি টাকা ($২ মিলিয়ন)। তদুপরি, এটি ব্যবহার করার জন্য ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ স্থির বসে থাকতে হবে, কারণ সামান্যতম আন্দোলনই ব্রেন সিগনালকে প্রভাবিত করতে পারে।

এখনও সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ নয়

মেটার গবেষক জিন-রেমি কিং এবং তাঁর দল বর্তমানে এই প্রযুক্তিটিকে পণ্যে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছেন না। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল মস্তিষ্কে ভাষার প্রক্রিয়াটিকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারা। তবে, আগামীতে যদি এই প্রযুক্তি ছোট এবং সস্তা ডিভাইসে উন্নত হয়, তবে এটি যোগাযোগের জগতে বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারে।

Leave a comment