বিহার পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এসেছে, যা বিশেষভাবে অ-ক্রিমি লেয়ার (NCL) এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণী (EWS) প্রার্থীদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে। বিহার সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগ এবং সেন্ট্রাল সিলেকশন কাউন্সিল এই প্রার্থীদের জন্য শংসাপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্ত उन প্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যারা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তাদের শংসাপত্র জমা দিতে পারেননি।
নতুন আপডেট কি?
বিহার পুলিশ নিয়োগের অধীনে NCL এবং EWS শ্রেণীর প্রার্থীদের আগে ২০২৩ সালের ২০শে জুলাই পর্যন্ত তাদের শংসাপত্র জমা দিতে হত। তবে, এখন এই তারিখটি বাড়িয়ে একটি নতুন সময়সূচী জারি করা হয়েছে। এতে প্রার্থীরা শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছেন। এই পরিবর্তনটি বিশেষ করে उन প্রার্থীদের জন্য স্বস্তির খবর যারা সময়মতো কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি।
প্রার্থীদের দাবি এবং সরকারের পদক্ষেপ
সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা রাজ্য সরকারের কাছে শংসাপত্র জমা দেওয়ার তারিখ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন, এবং এর পরে সেন্ট্রাল সিলেকশন কাউন্সিল এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সম্মতি পায়। এখন, ২০২৩ সালের ২০শে জুলাইয়ের পরে ইস্যু করা NCL এবং EWS শংসাপত্র থাকা প্রার্থীরা অতিরিক্ত সময় পাবেন, যার ফলে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা আসবে না।
এই পদক্ষেপকে বিহার সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, কারণ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করার প্রয়োজন ছিল। সরকার 70,000 এর বেশি পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিহার পুলিশ নিয়োগের গুরুত্ব
বিহার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে মোট 70,000-এর বেশি পদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যে বেকারত্বের উচ্চ হারের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ প্রার্থী এই পদগুলির জন্য আবেদন করছেন, এবং বিহার সরকার নির্বাচনী বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করেছে যাতে সব পদে সময় মতো নিয়োগ সম্পন্ন করা যায়।
এই নিয়োগে বিহার সরকার বিশেষভাবে EWS এবং NCL প্রার্থীদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে যাতে কোনো যোগ্য প্রার্থী কোনো সমস্যা ছাড়াই এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে।
দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্ত এবং বিহার পুলিশ নিয়োগের সাথে সম্পর্ক
দিল্লি সরকার সম্প্রতি EWS শ্রেণীর অধীনে আয়ের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে আয়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর, এখন যে সকল ছাত্রছাত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তারা EWS শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে।
এই পদক্ষেপ দিল্লির শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে, এবং বিহার পুলিশ নিয়োগেও EWS এবং NCL শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য একই রকম স্বস্তি দেওয়া হচ্ছে। এতে স্পষ্ট হয় যে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার এই শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য একইভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
শেষ তারিখ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী
বিহার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের EWS এবং NCL প্রার্থীরা এখন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছেন। প্রার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তারা যেন দ্রুত তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে এবং নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জমা দেয়, কারণ এর পরে কাগজপত্র জমা না দিলে প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
এই পরিবর্তন থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে রাজ্য সরকার এবং নিয়োগ কমিশন প্রার্থীদের সমস্যাগুলি উপলব্ধি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে বেকারত্বের সম্মুখীন যুবকরা আরও ভালো সুযোগ পাবে।
প্রার্থীদের প্রস্তুতির সময়
এই পরিবর্তন EWS এবং NCL প্রার্থীদের জন্য স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে, এবং এখন उन প্রার্থীদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ मिलेगा যারা আগে সময়সীমার মধ্যে কাগজপত্র জমা দেননি। এখন, বিহার পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে কোনও প্রার্থী এই পরিবর্তনের সুবিধা নিতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো চাকরির সুযোগ পেতে পারে।
এই মুহূর্তে, প্রার্থীদের জন্য এটি প্রস্তুতির সময়। সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং শংসাপত্র তৈরি রাখা বাধ্যতামূলক যাতে পরীক্ষায় কোনও প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।