উত্তরাখণ্ডে পূর্ব-মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নাইনিতাল, মসূরি এবং পীঠোরাগড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। অনেক জায়গায় পানি জমেছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং ময়লা আবর্জনা দোকানে ঢুকে পড়ায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাইনিতাল: উত্তরাখণ্ডে পূর্ব-মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কুমাউঁ অঞ্চলের নাইনিতাল, পীঠোরাগড় এবং বাগেশ্বর জেলায় সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। নাইনিতালে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে এবং রাস্তায় পানি জমেছে। অন্যদিকে, গড়ওয়াল মণ্ডলেও আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে। মসূরি এবং হরিদ্বারসহ অনেক এলাকায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়েছে।
নাইনিতালে হ্রদের জলস্তর বৃদ্ধি
শুক্রবার সকাল প্রায় ৯:৩০ টার দিকে নাইনিতালে ভারী পূর্ব-মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়। নিরন্তর বৃষ্টিপাতের ফলে হ্রদের জলস্তর বেড়ে গেছে। শহরের রাস্তায় পানি জমে গেছে এবং নালায় তীব্র বেগে আবর্জনা ভেসে যাচ্ছে। চিড়িয়াখানা রোড এবং তল্লিটাল বাজারে বৃষ্টির ফলে ময়লা আবর্জনা দোকান এবং হোটেলে ঢুকে পড়েছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, যানবাহন চলাচলেও প্রভাব
বৃষ্টির কারণে নাইনিতাল শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। অনেক এলাকায় কয়েক ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পানি জমার ফলে মানুষের চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং কর্মচারীদের বৃষ্টিতে বেশ কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। রাস্তায় পানি জমার ফলে হাটা এবং যানবাহন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
পীঠোরাগড় এবং বাগেশ্বরে মেঘের আধিপত্য
পীঠোরাগড় এবং বাগেশ্বর জেলায় সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ছিল। এখানে কুয়াশা এবং মাঝেমাঝে বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কমে গেছে। হালদ্বানীতেও সকাল থেকেই ঠান্ডা বাতাস বইছে এবং মেঘলা আকাশ রয়েছে। হালকা বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষ গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। গড়ওয়াল মণ্ডলের মসূরিতেও আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। শুক্রবার এখানে এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতসহ এই বৃষ্টিপাত পর্যটকদের কিছুটা অসুবিধার মধ্যে ফেলেছে, তবে গরম থেকে স্বস্তিও দিয়েছে।
হরিদ্বারে পানি জমেছে, রেলওয়ে পুলিয়ার নিচে পানি জমেছে
হরিদ্বারে শুক্রবার মুষলধারে বৃষ্টির পর অনেক এলাকায় পানি জমে গেছে। ভগৎ সিংহ চকের কাছে রেলওয়ে পুলিয়ার নিচে পানি জমে যাওয়ার ফলে যানবাহনের গতি কমে গেছে। অন্যদিকে, উত্তরকাশী জেলার সদরসহ সকল থানা এলাকায় মেঘলা আকাশ ছিল এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল।
কোটদ্বার এবং চমোলির আবহাওয়ার পরিবর্তন
কোটদ্বারে তীব্র বাতাসের সাথে বৃষ্টি হয়েছে যার ফলে তাপমাত্রা কমে গেছে। চমোলির আবহাওয়া তবে সারাদিন পরিষ্কার ছিল এবং রোদ উঠেছিল, যার ফলে বদ্রীনাথ যাত্রা কোনও বাধা ছাড়াই চালু ছিল। রাজ্যের অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে কাজ শুরু করেছে। পানি জমে থাকা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টা তীব্র করা হয়েছে। পর্যটন স্থানে আটকা পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে।