নাগপুর হিংসা: মাস্টারমাইন্ড ফাহিম শামিম খান গ্রেপ্তার

নাগপুর হিংসা: মাস্টারমাইন্ড ফাহিম শামিম খান গ্রেপ্তার
সর্বশেষ আপডেট: 19-03-2025

নাগপুর হিংসার মাস্টারমাইন্ড ফাহিম শামিম খানকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ, ২১শে মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে। সোশ্যাল মিডিয়া ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Nagpur Violence: মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সংঘটিত হিংসার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা ফাহিম শামিম খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তিনি ২১শে মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন। ফাহিম খান মাইনোরিটি ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)-এর শহর সভাপতি। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নিতিন গডকরীর বিরুদ্ধে নাগপুর থেকে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছেন, কিন্তু উভয় নির্বাচনেই তার জামিন জব্দ হয়েছিল।

হিংসা ছড়ানোতে ফাহিম খানের ভূমিকা

নাগপুর পুলিশের এফআইআরে ফাহিম খানের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। তার উপর অভিযোগ, তিনি প্রথমে থানায় গিয়ে বজরঙ্গ দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এবং মানুষকে উস্কে দেন। এর ফলে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক কথায় তা হিংসায় রূপান্তরিত হয়।

নাগপুর পুলিশ কী বলেছে?

নাগপুর পুলিশ কমিশনার রবিন্দ্র সিংহাল এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলেছেন, হিংসায় কিছু লোকের সরাসরি ভূমিকা থাকতে পারে, অথবা তারা মানুষকে উস্কে দিতে পারে। এই ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে যে, একজন ব্যক্তি এই হিংসার পেছনে ছিলেন, নাকি কোনও সংগঠন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ সর্বক্ষেত্রে ঘটনার তদন্ত করছে।

তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে এফআইআরে যারা অভিযুক্ত, তারা সকলেই নাগপুরের বাসিন্দা। তবে, কিছু দিক থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, কিছু বহিরাগত লোকও এই হিংসায় জড়িত ছিল। আমাদের তদন্ত চলছে, শীঘ্রই এই ঘটনায় আরও তথ্য প্রকাশিত হবে।"

কীভাবে নাগপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল?

মহারাষ্ট্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও বজরঙ্গ দল ১৭ই মার্চ অরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল। এ সময় নাগপুরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ধর্মীয় চিহ্নযুক্ত একটি চাদর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই গুজবের পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে যায় এবং বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভ পরে হিংসায় রূপান্তরিত হয়।

এই সময় অনেক গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং শহরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। হিংসায় বহু পুলিশ কর্মী ও সাধারণ নাগরিক আহত হয়।

এখন পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?

নাগপুর পুলিশ হিংসার ঘটনায় তিনটি আলাদা থানায় মোট ৬টি এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ১২৫০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০০ থেকে ২০০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্টের তদন্ত

নাগপুর পুলিশের সাইবার ইউনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও পোস্টেরও তদন্ত করছে। পুলিশ যারা হিংসা ছড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে তাদের পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও পুলিশ হিংসার সাথে জড়িত ১০০ থেকে ১৫০ টি সিসিটিভি ফুটেজের তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a comment