উত্তরাখণ্ডে ইউনিফাইড পেনশন স্কিম: কর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বড় সিদ্ধান্ত

🎧 Listen in Audio
0:00

উত্তরাখণ্ডে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী কর্মীদের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার ইউনিফাইড পেনশন স্কিম (ইউপিএস) প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেহরাডুন: উত্তরাখণ্ডে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী কর্মচারীদের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার ইউনিফাইড পেনশন স্কিম (ইউপিএস) প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে রাজ্যের ১,০০,৯৩৭ জন কর্মচারী উপকৃত হবেন। এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে ওল্ড পেনশন স্কিম (ওপিএস) প্রয়োগের দাবি করে আসছে।

ইউপিএস প্রয়োগের ফলে সরকারের উপর বৃদ্ধি পাবে আর্থিক বোঝা

ইউনিফাইড পেনশন স্কিম (ইউপিএস) প্রয়োগের ফলে রাজকোষে ৪৯২ কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা পড়বে। তবে, সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই স্কিম স্বেচ্ছামূলক হবে এবং কর্মচারীদের এতে যোগদানের বিকল্প থাকবে। সরকার ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কর্মচারীদের ইউপিএসে যোগদানের বিকল্প দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউপিএস বনাম এনপিএস: জানুন কী পার্থক্য?

* কর্মচারী অবদান: ইউপিএসে কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০% কাটা হবে, যা এনপিএসের সমান।
* সরকারি অবদান: এনপিএসে সরকারের অবদান ছিল ১৪%, যখন ইউপিএসে এটি ১৮.৫% করা হয়েছে।
* ন্যূনতম পেনশন: ইউপিএসে ১০ বছরের সেবার পর কর্মচারীরা ১০,০০০ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন, যখন এনপিএসে এই অঙ্ক ছিল ৯,০০০ টাকা।
* দীর্ঘ সেবার সুবিধা: ২৫ বছরের সেবা সম্পূর্ণ করার পর কর্মচারী ইউপিএসে মোট বেতনের ৫০% পেনশন হিসেবে পাবেন। এছাড়াও, সময় সময় মূল্যবৃদ্ধি ভাতার সুবিধাও দেওয়া হবে।
* পারিবারিক পেনশন: ইউপিএস এর অধীনে কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার পেনশনের ৬০% পাবে।

উত্তরাখণ্ডে কতগুলি কর্মচারী প্রভাবিত হবেন?

বর্তমানে ৯৭,০১৯ জন কর্মচারী ওপিএসের সুবিধা পাচ্ছেন।
এনপিএসের সাথে যুক্ত ১,০০,৯৩৭ জন কর্মচারী এখন ইউপিএসের বিকল্প বেছে নিতে পারবেন।
ইউপিএস প্রয়োগের ফলে সরকারের উপর প্রতি মাসে ৪১ কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা পড়বে।
নির্বাচনী কৌশলের অংশ নাকি কর্মচারী হিতৈষী সিদ্ধান্ত?

ওপিএসের ইস্যুকে ঠান্ডা করার চেষ্টা?

বিরোধী দল কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে ওল্ড পেনশন স্কিম (ওপিএস) পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি করে আসছে এবং এটিকে আগামী নির্বাচনে বড় ইস্যু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী ধামীর এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার এখন বিরোধী দলের এই অস্ত্রকে দুর্বল করার কৌশল গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ধামীর এই ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে যখন উত্তরাখণ্ডে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিকটবর্তী। সরকারের এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন কর্মচারীদের স্বস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ, তেমনি এটি নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের আক্রমণকে দুর্বল করার কৌশলও হতে পারে।

Leave a comment