উত্তরাখণ্ডে অবৈধ মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র, ১৫ দিনে ৫২টির বেশি মাদ্রাসা সিল। সরকার জনসংখ্যা ভারসাম্যহীনতার ষড়যন্ত্র রোধ করার কঠোর বার্তা দিয়েছে, রাজ্যের মূল চরিত্রের সাথে আপোষ করা হবে না।
উত্তরাখণ্ড: উত্তরাখণ্ডে অবৈধভাবে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলির উপর সরকারের নজরদারি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর নির্দেশে গত ১৫ দিনে ৫২টির বেশি মাদ্রাসা সিল করা হয়েছে। ধর্মের আড়ালে চলমান সন্দেহজনক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
অবৈধ মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে কেন অভিযান?
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠে আসছিল যে অবৈধভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে দেহরাডুনের বিকাশনগর এবং উধম সিং নগরের খাটিমায় বেশ কিছু মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি প্রশাসন বিকাশনগরে ১২টি এবং খাটিমায় ৯টি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছে। এর আগে অন্যান্য জেলায় ৩১টি মাদ্রাসার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
ধর্মের আড়ালে জনসংখ্যা ভারসাম্যহীনতার ষড়যন্ত্র?
সূত্রের খবর, অনেক অবৈধ মাদ্রাসায় অনুমতি ছাড়াই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছিল, এবং জনসংখ্যা ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টির চেষ্টাও করা হচ্ছিল। সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাজ্যের মূল চরিত্রের সাথে কোনও ধরণের ছিনিমিনি সহ্য করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী ধামীর কঠোর বার্তা
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী স্পষ্ট করে বলেছেন যে উত্তরাখণ্ডে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কোনও ধরণের অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না। যে কেউ অবৈধভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করছে বা আইন ভাঙছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা
এই অভিযান থেকে স্পষ্ট যে রাজ্য সরকার অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য ক্রমাগত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। আগামী সময়ে আরও অবৈধ মাদ্রাসা এবং অন্যান্য অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
জমি নিবন্ধনে জালিয়াতি
উত্তরাখণ্ডে জমি নিবন্ধনে জালিয়াতি এবং স্ট্যাম্প চুরির ঘটনা রোধ করার জন্য বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত SIT ৩৭৮টি অভিযোগ পেয়েছে, যার মধ্যে ৭২টি মামলায় FIR দায়ের করে তদন্ত চলছে।
কীভাবে জমি জালিয়াতি হচ্ছে?
অনেক ক্ষেত্রে জাল নথির মাধ্যমে জমি নিবন্ধন করা হচ্ছে, যার ফলে প্রকৃত মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও, স্ট্যাম্প চুরির মাধ্যমে সরকারকে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করা হচ্ছে।
অর্থ সচিবের কঠোর নির্দেশ
অর্থ সচিব দিলীপ জাভালকর এই ঘটনাগুলির গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কর্মকর্তাদের বলেছেন যে সমস্ত বাকি মামলার পর্যালোচনা দ্রুত সম্পন্ন করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ফরেনসিক পরীক্ষায় বিলম্বে ক্ষোভ
তদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে যে ফরেনসিক ল্যাবে নথির পরীক্ষায় অনেক বিলম্ব হচ্ছে। এর ফলে অনেক মামলায় ব্যবস্থা আটকে আছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিবন্ধন মহানিরীক্ষককে দ্রুত ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল ফরম্যাটে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হবে রিপোর্ট
সরকার এখন SIT-এর দ্বারা উদ্ঘাটিত জালিয়াতি এবং অন্যান্য অসংগতিগুলি ডিজিটাল ফরম্যাটে সংগ্রহ করছে, যাতে এটি মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর সামনে উপস্থাপন করা যায়। এতে রাজ্যে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং অবৈধ কার্যকলাপের উপর আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।