ট্যাংরা ট্রিপল মার্ডার: নিহতার স্বামী গ্রেপ্তার

🎧 Listen in Audio
0:00

কলকাতা পুলিশ ট্যাংরা ট্রিপল মার্ডার মামলায় নিহতার স্বামী প্রসূন দে-কে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের হত্যার অভিযুক্ত। পুলিশ বহু ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে।

মার্ডার কেস: কলকাতা পুলিশ ট্যাংরা ট্রিপল মার্ডার মামলায় নিহতার স্বামী প্রসূন দে-কে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের হত্যার অভিযুক্ত। পুলিশ বহু ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পুলিশের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে কোনও বহিরাগতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সোমবার রাতে প্রসূন দে-কে গ্রেপ্তার করে। কর্তৃপক্ষের মতে, হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর তাঁকে ট্যাংরা থানায় আনা হয়, যেখানে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু বিরোধাভাস পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আত্মহত্যার চেষ্টা থেকে মামলার উন্মোচন

এই মামলাটি ১৯ ফেব্রুয়ারি সামনে আসে, যখন প্রসূন দে এবং তার বড় ভাই প্রণয় দে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসে গাড়ির দুর্ঘটনার শিকার হন। এই ঘটনাকে আত্মহত্যার চেষ্টা হিসেবে ধরা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর তাদের দুজনকেই নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এদিকে পুলিশকে খবর পায় যে প্রসূন দে-র বাড়িতে তিনটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পুলিশ সেখানে পৌঁছে মৃতদের মধ্যে তাঁর স্ত্রী, আরেকজন মহিলা এবং একজন মেয়েকে পায়।

পোস্টমর্টেম রিপোর্টে হত্যার সত্যতা

২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তিনজনেরই হত্যার কথা নিশ্চিত হয়। এর পর পুলিশ তদন্ত অগ্রসর করে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি জানায় যে এই হত্যাকাণ্ডে কোনও বহিরাগতের জড়িত ছিল না। বর্তমানে, পুলিশ কি পরিস্থিতিতে এবং কিসের জন্য হত্যা করা হয়েছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

Leave a comment