শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গ ধ্বস: ৮ শ্রমিক আটকা, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

🎧 Listen in Audio
0:00

তেলঙ্গানার নাগরকুর্নুল জেলায় নির্মাণাধীন শ্রীশৈলম লেফ্ট ব্যাংক ক্যানাল (SLBC) প্রকল্পের সুড়ঙ্গের একটা অংশ ধ্বসে পড়ায় ১৪ কিমি ভেতরে আটজন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকার্য ত্বরান্বিত করা হয়েছে।

হায়দ্রাবাদ: তেলঙ্গানার নাগরকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম লেফ্ট ব্যাংক ক্যানাল (SLBC) প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গের একটা অংশ ধ্বসে পড়ায় আটজন ব্যক্তি আটকা পড়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ইঞ্জিনিয়ার, দুজন মেশিন অপারেটর এবং চারজন শ্রমিক রয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোচন বাহিনী (NDRF), রাজ্য দুর্যোগ মোচন বাহিনী (SDRF) এবং অন্যান্য সংস্থা সম্পৃক্ত রয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সফলতা মেলেনি।

রেট মাইনার্স-এর দক্ষতায় উদ্ধারের আশা

উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন এমন খনি শ্রমিকদের একটি দল বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তাদের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনী, NDRF এবং অন্যান্য উদ্ধার দলও অভিযানে অবিরতভাবে নিয়োজিত রয়েছে। তবে, ৬০ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সফলতা আসেনি, তবে আশা রয়েছে যে শীঘ্রই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ

উদ্ধারকার্যকে কার্যকর করার জন্য সোমবার এন্ডোস্কোপিক এবং রোবোটিক ক্যামেরা সুড়ঙ্গে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও, NDRF ডগ স্কোয়াডকেও সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে শ্রমিকদের অবস্থার সন্ধান করা যায়। উদ্ধারকর্মীরা আশাবাদী যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় শ্রমিকদের শীঘ্রই নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হবে।

সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের মধ্যে চারজন ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার। তাদের প্রত্যেক পরিবারের একজন সদস্যকে তেলঙ্গানায় ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, গুমলা জেলার উপায়ুক্ত কর্ণ সত্যার্থী তাদের পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন, যাতে তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ

গত বছর নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পড়া প্রভাবের কথা মাথায় রেখে এবার প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। গবেষণার অনুযায়ী, ওই ঘটনার সময় আটকা পড়া শ্রমিকদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই হতাশা এবং ঘুমের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। তেলঙ্গানায়ও কর্মকর্তারা শ্রমিকদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন।

যদিও উদ্ধারকার্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে রয়েছে, তবে রেট মাইনার্স, সেনাবাহিনী এবং NDRF-এর যৌথ প্রয়াসে শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করার আশা রয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে, যাতে এই দুর্গতিতে আটকা পড়া শ্রমিকদের যত দ্রুত সম্ভব সাহায্য করা যায়।

Leave a comment